বিশ্ব বেতার দিবসের অনুষ্ঠানে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ॥ বেতারের প্রয়োজনীয়তা কখনোই শেষ হবে না

56

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন- বেতার আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানী মারকোনী। কিন্ত বিশ^ আজ স্বীকার করছে মারকোনী একা নয় তাঁর সাথে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর অনেক বড় অবদান রয়েছে। অনেকেরই মনে হতে পারে টেলিভিশন ও স্মার্ট ফোনের যুগে আস্তে আস্তে বেতার অচল হয়ে যাবে। তা কিন্ত না। অনেকেই আছে কাজের মধ্যে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেডিও বাজিয়ে পছন্দের গান শোনে থাকে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেদেশে গাড়ি চালাতে দীর্ঘসময় রেডিও বাজিয়ে চলে। যেহেতু রেডিও এবং টেলিভিশনের মধ্যে অনেক ব্যতিক্রম বা ভিন্নতা রয়েছে। কাজেই বেতারের প্রয়োজনীয়তা কখনো শেষ হবে না। আমাদের এখন দায়িত্ব হয়ে পড়েছে বেতারকে নতুন যুগের সঙ্গে নতুন টেকনোলজির মাধ্যমে খাপ খাইয়ে চালানো। সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে হবে। যখন আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড় আসে তখন আমরা রেডিওতে খবর নিতে থাকি এবং নিরাপদে আশ্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করি। পৃথিবীতে যেখানে বড় বড় দুর্যোগ হয়েছে ঠিক সেখানে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কাজেই আমরা কখনো ধরে নিতে পারবো না যে এটা একটা পুরাতন টেকনোলজি। তবে যেহেতু নতুন সময় এসেছে। নতুন নতুন টেকনোলজি তৈরি করতে হবে। কিভাবে নতুন টেকনোলজির মাধ্যমে বেতারকে আরো যুগোপযোগী করা যায় সে বিষয়ে আরো গুরুত্বসহকারে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা একটা অ্যাপস্ তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এটা করতে পারলে বিশে^র যে কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশ বেতার শোনা যাবে।
তিনি ১৩ ফেব্র“য়ারি মঙ্গলবার সকালে বিশ^ বেতার দিবস ২০১৮ উপলক্ষে ‘ক্রীড়াঙ্গনে বেতার ‘প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত র‌্যালী পূর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ ফখরুল আলম-এর সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক পবিত্র কুমার দাশ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, আঞ্চলিক প্রকৌশলী মানোয়ার হোসেন খান, উপ-আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তারিক, মোহাম্মদ আব্দুল হক, মোঃ হাবিবুর রহমান, উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক সঞ্জয় সরকার, উপ-আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবুল হাছান মোঃ ফয়সল, সহকারী পরিচালক মোঃ জাকিরুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার দাস, মোঃ জোনায়েদ হোসেন। জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশনের সভাপতি আল-আজাদ, সিলেট শিশু একাডেমীর সাবেক শিশু সংগঠক জামান মাহবুব চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, দৈনিক সিলেটের ডাক এর বার্তা সম্পাদক সমরেন্দ্র বিশ^াস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামসুল আলম সেলিম, সিলেট কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনিয়মিত শিল্পী, নিজস্ব শিল্পী, অধিবেশন তত্ত্বাবধায়ক, কলাকুশলী, রেডিও পল্লীকন্ঠ, বিভিন্ন বেতার শ্রোতাক্লাবসহ সিলেটের সরকারী বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুধীসমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দ র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি