কূটনীতিকদের ব্রিফ করল বিএনপি

29

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ব্রিফ করল বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকটি এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে চলে। বৈঠকে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, জার্মানি, ইতালি, স্পেন, মরক্কো, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, কুয়েত, সৌদি আরব এবং ভ্যাটিক্যান সিটির কূটনীতিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনাম আহমেদ চৌধুরী, রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিফ করার কিছু নেই। কূটনীতিকদের সঙ্গে আমরা রুটিন মাফিক এসব করি। এটা প্রায়ই করি আমরা। আজকেও সেই রকম একটা মিটিং ছিল। স্পেশাল কিছু না। তিনি বলেন, আমরা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি। শুধুমাত্র মতবিনিময় হয়েছে এ পর্যন্তই। কূটনীতিকদের সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বলেছি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাটি সাজানো ও বানোয়াট বলে কূটনীতিকদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত করা, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করা, সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা বেড়ে যাওয়ার বিষয়গুলোও কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরে দলটি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল কূটনীতিকদের বিষয়গুলো অবহিত করেন।
এদিকে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সরকারি খরচে নির্বাচনী প্রচারাভিযান বন্ধ করতে হবে। না হলে বিএনপিকে জনসভা করার সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, আজ থেকে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নেমে গেছেন। স্পষ্টভাবে নৌকায় ভোট চেয়েছেন।
মওদুদ বলেন, ডিসেম্বরে ভোট হবে। এখন প্রশ্ন হলো এখানে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আসলে কী? সাধারণত তফসিল ঘোষণার পর দুই-তিন মাস নির্বাচনী প্রচার করা যায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কতটুকু শক্ত? তিনি বলেন, সরকারি খরচে নির্বাচনী প্রচারাভিযান করা নির্বাচন কমিশনকে বন্ধ করতে হবে। না হলে বিএনপিকেও জনসভা করার সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আগেই বলেছি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচারাভিযান লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের নমুনা নয়। এখন দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেটে ভোট চাইছেন, আর আমাদের আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হবে।