শুক্রবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ॥ কানাইঘাটের নারাইনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি

83

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গত শুক্রবার রাতে কানাইঘাট ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির নারাইনপুর আগফৌদ গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হওয়ায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন গং ও সাবেক ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া ও আজিজুর রহমান গংদের মধ্যে আবারো বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। শুক্রবারের রাতের ঘটনার জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার সকাল অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া ও আজিজুর রহমান, জালাল হোসেন গংদের নেতৃত্বে কয়েকশত লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মৌন মিছিল সহকারে ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন পক্ষের লোকজনের কয়েকটি বাড়ীতে চড়াও হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বাড়ীর মহিলা ও শিশুদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন পক্ষের লোকজন জানিয়েছেন। গত শুক্রবারে রাতের সংঘর্ষের ঘটনার পর এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য চোরাগোপ্তা হামলা, হুমকি ধমকি দেওয়ায় গ্রামের জনমনে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রাণ হানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে গাছবাড়ী এলাকার সচেতন লোকজন জানিয়েছেন। ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিনের অভিযোগ গত শুক্রবারের রাতের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে তিনি সহ তার পক্ষের অধিকাংশ লোকজন সাবেক ইউপি সদস্য, ইয়াহিয়া, আজিজুর রহমান, জলাল, হোসেন, আশিক, আজিজুর, আলমগীর, ফয়েজ গংদের প্রাণ নাশের হুমকির মুখে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজিজুর রহমান গংরা গ্রামের এজমালী সম্পত্তি বিল বাদলের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। গ্রামের এজমালী সম্পত্তির হিসাব চাইতে গেলে গত শুক্রবার রাতে আজিজুর রহমানের পক্ষের লোকজন গামের সাধারণ মানুষের উপর সশস্ত্র হামলা করেছে। গ্রামে তারা একধরনের এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করায় সাধারণ মানুষ তাদের কোন ধরনের অন্যায় কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে পারছেন না। গত কাল মঙ্গলবার সকালে আজিজুর রহমান গংরা দেশীয় মারাত্মক ধারালো অস্ত্র, চায়নিস কুড়াল ও রাম দা ও কয়েকশত লাঠি সোটা নিয়ে আব্দুল মালিক মৌলা, মালিক, আবুল, বদরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন গংদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মহিলাদের লাঞ্ছিত করে বলে ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন জানান। অপরদিকে আজিজুর রহমান ও সাবেক ইউপি সদস্য ইয়াহিয়া জানিয়েছেন, ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন গংরা গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা গ্রামের মুরব্বীয়ানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। দেশ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আজিজুর রহমান গংরা উল্লেখ করে তারা বলেন শরিফ গংরা গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামের অনেক মুরব্বীর বাড়ীতে গিয়ে হানা দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ায় গত মঙ্গলবার সকলে গ্রামবাসী জমায়েত হয়ে তার প্রতিবাদ করেন। কারো বাড়ীতে হামলা করা হয়নি। গত শুক্রবারের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন।