দক্ষিণ সুরমায় আ’লীগের বর্ধিত সভায় সংঘর্ষের ঘটনা ॥ গভীর রাতে সড়ক অবরোধ, আগুন

52

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে গত শুক্রবার রাতে দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সাইস্তা আহত ও তার গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় গভীর রাতে সড়ক অবরোধ ও টায়ারে আগুন নিয়ে প্রতিবাদ করেছে এলাকাবাসী ও আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের মোগলাবাজার ইউনিয়নের খালোমুখ বাজারে এ অবরোধ ও প্রতিবাদ করেন এলাকাবাসী। পরবর্তীতে পুলিশ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদের হস্তক্ষেপে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তা আহত হওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসী। পরে পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল এলাকায় শুভেচ্ছা কমিউনিটি সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফর উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ছিল। সভায় অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করছিলেন হাবিবের অনুসারী এক নেতা। তিনি উপস্থিত অতিথিদের নাম উল্লেখ করার সময় সিনিয়র-জুনিয়র প্রটোকল মানছিলেন না। এসময় এমপি সামাদের অনুসারী উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আহমদ বিষয়টি নিয়ে সভা পরিচালনাকারীকে কটুক্তি করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পরিণত হয়। পরে, আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের শুরু হয় বর্ধিত সভা। সভা শেষে অতিথিরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় একটি গ্র“পের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ও হাবিব গ্র“পের নেতা ফখরুল ইসলাম সাইস্তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তার প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-চ-১৪-০০৯৪) ও দু’টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অনন্ত: ১৫ জন আহত হন। তখন ঢাকা-সিলেট মহানসড়ক প্রায় দু’ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে ৫০ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।