অবশেষে ধন মিয়ার ঘরে ঠাঁই হলো সফিনার

44

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বিয়ের আগে সন্তান জন্মের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালে সন্তান জন্ম নেয়ার পরদিন ৩ লক্ষ টাকা কাবিনমূলে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে নবজাতক সন্তানকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন স্ত্রী।
জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ঘিলাছড়া গ্রামের কলমধর আলী ২পুত্র ও ২কন্যা সন্তানকে রেখে প্রায় ৮বছর আগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর পরিবারের হাল ধরেন স্ত্রী সফিনা বেগম। এক পর্যায়ে সফিনার উপর নজরে পড়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির ৬ সন্তানের জনক ঘিলাছড়া গ্রামের মৃত চান্দালীর পুত্র ধন মিয়ার। দেখা-সাক্ষাৎ ও মন দেয়া-নেয়া থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন থেকে তাদের এ অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। অবৈধ মেলা-মেশার কারণে সফিনা অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিয়ের চাপ দিয়ে আসলেও বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও চালায় গ্রামের মৃত চান্দালীর পুত্র ও ৬ সন্তানের জনক চা ব্যবসায়ি ধন মিয়া। অবশেষে সফিনা ২৩ জানুয়ারি গ্রামের মুরব্বিয়ানদের বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক উপস্থিত করা হয় নরসিংপুর বাজারের চা ব্যবসায়ি ধনমিয়াকেও। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ধন মিয়া সে তার অপকর্মের কথা স্বীকার করে এবং বিয়ে করারও প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করলে ২৪ জানুয়ারি বিয়ের দিন-তারিখ ধার্য্য করা হয়। উপস্থিত সময় প্রসব ব্যথা দেখা দিলে সফিনাকে সিলেট ওসমানী মেডিকের কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে ২৫ জানুয়ারি রাতে জন্ম নেয় এক পুত্র সন্তান। এদিকে ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে বাড়িতে পৌঁছলে মুরব্বি ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আরেক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বৈঠকটি ছিল বিয়ের। বৈঠকে ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান ও ইউপি সদস্যা মমতাজ বেগম, বাবুল মিয়া, লয়লুছ খান, আলাল মিয়া, ময়না মিয়া, বতুল্লাহ, আতাউর রহমান, ছায়াদুর রহমান, ছমির উদ্দিন, আবদুল্লাহ, রুহুল আমীন, সুহেল মিয়া, খছরু মিয়া, জয়নাল, মতিন মিয়া, আলমগীর, আলমাছ আলী, আবদুর রউফ, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সুরত খানসহ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উভয়ের সম্মতিক্রমে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ি ময়না মিয়াকে উকিল, লয়লুছ খান ও ছমছুল হককে সাক্ষী নিযুক্ত করে নিকাহ রেজেষ্টার কয়ছর আহমদের সহকারি মাছুম আহমদের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা কাবিন মূলে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে সম্পন্নের পরেই রাত আনুমানিক ১২টার দিকে নবজাতক সন্তানকে কূলে নিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর বাড়িতে পা রাখলেন সফিনা। এর আগে সফিনা ও চা ব্যবসায়ি ধন মিয়াকে ব্যর্থাঘাত করে শাস্থি প্রদান করেন বৈঠকের সভাপতি মুরব্বি ইসলাম খান।