গদ্যের রূপে পদ্য

94

সুবীর সেনগুপ্ত

বৃহৎ একটি পদ্য লিখব
কতদিন ধরে ভাবছি
এতেই থাকবে গদ্যের রূপ
লিখতে কোথায় পারছি!

এক করে দিই খাতা ও কলম
বসলেই দুইদণ্ড
কিছু ছাই পাশে ভরে ওঠে খাতা
গড়ে ওঠে কিছু ছন্দ।

অবসরেই তো লিখি আর পড়ি
তাতেও আনি পছন্দ
আসলে কি জানো, লেখা থেকে পাই
অনেক সুক্ষ্ম গন্ধ।

কাব্যের রূপে কবিতা পড়েছি
ভাবনা গড়েছে মনে
তেমন কবিতা গড়তে পারিনি
ছন্দ এসেছে গঠনে।

কি করে শিখব গদ্যের রূপ!
ছন্দ শিখতে দেয় না
সাজা দেব নাকি ছন্দকে আমি!
সেটা সম্ভব হয় না।

বৃহৎ কবিতা হয়ত লিখেছি
ছন্দই তাতে খেলেছে
একশ লাইনে বৃহৎ কি হয়!
মনও দ্বিধায় ভরেছে।

বৃহৎ তো হয়, হয় না গদ্য
ভাবের অভাব, বুঝেছি
কি ভাবে করব অভাব পূর্ণ!
সেই ভাবনাতে ডুবেছি।

কিছু লেখা, সে তো সৃষ্টির কাজ
শধু দৃষ্টিতে হয় না
কিছু তো প্রতিভা থাকতেই হবে
আছে কি সেটাই! জানি না।

লিখবার সাধে কেন যে কবিতা!
জানা কি যাবেই কারণ!
সকলে করে না কবিতা সৃষ্টি
নেই এই কাজে মন।

গদ্যের রূপে না হয় না হোক
তবুও লিখব কবিতা
যেমনই হোক না রূপ, হয় হোক
ঢাকব না অজ্ঞতা।

বিষয় খোঁজার তাড়া নেই কোনো
যা নিয়ে লিখব কবিতা
চারিদিকে বিষয়ের ছড়াছড়ি
গদ্যে ভরে না খাতা।

পদ্যের মাঝে গদ্যের রূপ
না হলেই কেন চিন্তা!
আর এই চিন্তা রাখব না মনে
লিখেই চলব কবিতা।