বিশ্বনাথে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী পলাতক

40

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে লুবনা বেগম (২৫) নামের এক স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে হেলাল মিয়া (৪০) নামের এক পাষন্ড স্বামী। বিশ্বনাথ ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক হেলাল মিয়া উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তি জানাইয়া (উত্তর মুসলা) গ্রামের মৃত জহুর আলীর ছেলে। স্ত্রী লুবনা বেগম উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মৃত ওয়াহিদ আলীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লুবনাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বিকেল ৪টার দিকে হেলালের চাচাতো ভাই পর্শ্ববর্তী বাড়ির নুর উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি দুলাল আকন্দ বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং হেলালকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের জনক হেলাল মিয়া দীর্ঘদিন থেকে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনে কথা বলে শ্বাশুড়ীসহ তার স্ত্রী লুবনা বেগমকে নিজ বাড়ির পরিবর্তে চাচাতো ভাই নুর উদ্দিনের বাড়িতে যেতে বলেন। স্বামীর কথামতো লুবনা বেগম তার মাকে নিয়ে নুর উদ্দিনের বাড়িতেই গিয়ে উঠেন। নুর উদ্দিনের বসত ঘর থেকে এ সময় স্বামী হেলাল তার স্ত্রী লুবনাকে ডেকে অন্য আরেকটি ঘরে নিয়ে যান। লুবনা বেগম সেই ঘরে যাবার পর হেলাল মিয়া ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন। স্বামী স্ত্রীর গোপন কোন আলাপ আলোচনা মনে করে বাড়ির লোকজন তেমন একটা খেয়াল না করলেও কিছুক্ষণ পর লুবনার চিৎকার শুনতে পান। এসময় লুবনার চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে হেলাল মিয়া দরজা খুলে পালিয়ে যান। পরে বাড়ির গৃহকর্তা নুর উদ্দিনের সহযোগীতায় লুবনা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘেষাণা করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।