এবার হজ্বে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন

39

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ্ব করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং অবশিষ্ট ১ লাখ ২০ হাজার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্ব করার সুযোগ পাবেন। রবিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশবাসীকে জানাতে চাই, আমরা সুন্দরভাবে ২০১৮ সালের সৌদি বাংলাদেশ হজ্ব চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। ১৪ জানুয়ারি পবিত্র মক্কা-আল-মোকাররমায় এই হজ্ব চুক্তি সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে আমি নেতৃত্ব দিই।’ সৌদি আরবের মক্কায় এ হজ্ব চুক্তি সম্পাদিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও সৌদি-ওমরাবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতান।
ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান বলেন, অন্য বছরের মতো এবারও মোট হজযাত্রীর শতকরা ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিডেট এবং ৫০ ভাগ সৌদি এয়ারলাইনস বহন করবে। পানিপথে জাহাজের মাধ্যমে হজ্বযাত্রী পরিবহনে বাংলাদেশ প্রস্তাব দিলে সৌদি আরব অনুমোদন করেনি। এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকার সব ধরনের ক্রয় ও সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করেছে, যা ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে কার্যকর হয়েছে। আবাসন, খাদ্য ও পরিবহনের ওপর এর প্রভাব পড়বে।
তবে রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক আরোপিত ভ্যাটের প্রভাব যাতে হজ্বযাত্রীদের ওপর আর্থিক প্রভাব সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচেষ্ট থাকবে। সৌদি সরকার নিরাপত্তার প্রশ্নে সব ধরনের শৃঙ্খলার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে হজ্ব এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গত নয়টি হজ্ব অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৬ সাল হতে পুরোপুরি ই-হজ্ব পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে। ই-হজ্ব পদ্ধতিতে আমরা বিগত বছর সফলতার সঙ্গে হজ্ব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।’
এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ্ব এজেন্সিগুলোকে হজ্বযাত্রীদের প্রতি আরও যতœবান ও দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘হজ্বযাত্রীদের প্রতি কোনো ধরনের অবহেলা বা প্রতারণা আমরা সহ্য করা হবে না। অন্যায়কারী যে-ই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। হজ নীতিমালা, হজ্ব প্যাকেজ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের বিভিন্ন নির্দেশাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করে হজ্বযাত্রীদের প্রতি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।’