কানাইঘাট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধেচেক ডিজওনার মামলা, নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড়

26

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদের বিরুদ্ধে একই সংগঠনের এক কর্মী বাদী হয়ে ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার চেক ডিজওনার মামলা সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও আমলী আদালত কানাইঘাটে দায়ের করেছেন। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কানাইঘাট পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুর্লভপুর গ্রামের মৃত জালাল আহমদের পুত্র আফজল হোসেন মিজান বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদের বিরুদ্ধে এ চেক ডিজওনার মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে মামলার বাদী আফজল হোসেন মিজান উল্লেখ করেছেন, একই সাথে লেখাপড়া এবং সুসম্পর্ক থাকায় ছাত্রলীগ নেতা মারুফ আহমদ পাথর ব্যবসার জন্য তার কাছে মোটা অংকের টাকা চাইলে তিনি তার ফ্রান্স প্রবাসী বোন ও সৌদি প্রবাসী ভাই এনাম হোসেনের কাছ থেকে পাথর ব্যবসার জন্য মারুফ আহমদকে নগদ ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেন। কিন্তু পাথর ব্যবসার মূলধন ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও লভ্যাংশ প্রদান না করে মারুফ আহমদ নানা টাল বাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে এলাকায় সালিশ বিচার হলে মারুফ আহমদ গত ০৫/১০/২০১৭ইং তারি ইসলামী ব্যাংক কানাইঘাট শাখার চেক নং- এম.এস.আর ১৯৩২৩২৩ এর অনুকূলে ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন আফজল হোসেন মিজানকে, কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে সংশ্লিষ্ট একাউন্টে কোন টাকা না পেয়ে মারুফ আহমদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে আফজল হোসেন মিজান। কিন্তু তারপরও মারুফ আহমদ টাকা পরিশোধ না করায় গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে আফজল হোসেন মিজান বাদী হয়ে এনআইএ্যাক্টস ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারার বিধান মোতাবেক চেক ডিজওনার মামলা দায়ের করেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদের বিরুদ্ধে এ চেক ডিজওনার মামরা দায়েরের ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড় ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বিধা বিভক্তি রয়েছে। আফজল হোসেন মিজান এক সময় মারুফ আহমদ সমর্থিত ছাত্রলীগের সক্রীয় কর্মী ছিল। এব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।