ছাতকে শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত

32

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাড় কাঁপানো শীত ও তীব্র ঘনকুয়াশার কারনে প্রায় এক সপ্তাহ থেকে এ উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ। ঘন কুয়াশায় গ্রামীণ সড়কসহ সড়ক মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে। ভোরবেলা থেকে দিনের ১০টা পর্যন্ত দূরপাল্লার বাসসহ বিভিন্ন মালবাহী যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কনকনে শীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে শীতে কষ্ট নিবারনে ছুটতে হচ্ছে গরম কাপড়ের দোকান। স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ থেকে এখানে অন্যান্য বছরের চেয়ে একটু বেশি মাত্রায় শীত নেমেছে। প্রচন্ড শীতে সাধারণ কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে কারো সময়ই ভাল যাচ্ছে না। তারা জানান, শীতের তীব্র আবহাওয়ায় নবজাতক শিশুদের শীত জনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো এবং ওষুধের দোকানে শীত জনিত রোগ নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, এজমা, এলার্জীসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু সন্তানসহ অভিভাবকদের ভীড় লক্ষণীয়।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সিরাজগঞ্জ বাজার, জাউয়াবাজার ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকার হতদরিদ্র আম-জনতা শীতে কাপছে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য শীতের সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। শীতের তীব্র প্রকোপে কাবু হয়ে দিন কাটছে ওদের অসহায়ত্ব অনুভবের দীর্ঘ নিঃশ্বাসে। গ্রামীণ জনপদের হতদরিদ্র শীত নিবারনের এক মাত্র অবলম্বন বলতে ধানের খড়-কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপে কিছু সময় শীত নিবারন করছে। স্থানীয় সচেতন মহল জানান, হাড় কাঁপানো এ আসন্ন মাঘের শীতে সমাজের হতদরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থে সরকারের জনপ্রতিনিধি কিংবা বৃত্তবানদের এখন পর্যন্ত বড় রকমের কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। হত-দরিদ্রদের এ দুঃসময়ে যেন দেখার কেউ নেই! স্থানীয় সচেতন মহল সরকারের জনপ্রতিনিধিসহ সকল বিত্তবানদের দ্রুত শীতার্ত মানুষের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার আহবান জানান।