ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২৫

21

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার তাজপুর বাজারে সংঘর্ষে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়কসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে প্রায় চল্লিশ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় সড়কের দুই দিকে দূর পাল্লার গাড়িসহ শত-শত গাড়ি আটকা পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ পুলিশ ৫-৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ আতঙ্কিত এলাকাবাসী ছাত্রলীগের এমন তান্ডবে নেপথ্যে থাকা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একাধিক নেতাকে দায়ি করেছেন।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরের দিকে তাজপুর ডিগ্রী কলেজের ভিতরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক চঞ্চল পালের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী হাম্মাদ আল হাসান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনা মিয়ার অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী মঞ্জুর আহমদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারমুখী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানার পুলিশ তাজপুর বাজারে অবস্থান নিতে দেখা যায়। কলেজের ঘটনার জের ধরে বিকেলে তাজপুর বাজারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দাল মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনা মিয়া অনুসারী ছাত্রলীগের কর্মীরা এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক চঞ্চল পাল অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। আহতরা হলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক চঞ্চল পাল, ছাত্রলীগের সুজন আহমদ, হাম্মাদ আল হাসান, সুজিত, মঞ্জুর আহমদ, টিপু আহমদ, সেবুল আহমদ, নাজিম আহমদ, কাওছার আহমদ, টিপন আহমদ, রাসেল, পিংকু, রামুসহ আরো কয়েক জন। আহতরা স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও সিলেট শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আহত নাজিমকে গুরুতর অবস্থায় সিলেটের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনা মিয়া অনুসারীদের দাবি আহতদের মধ্যে অধিকাংশই তাদের পক্ষের।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সহিদ উল্যা সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫-৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।