সাধ্য থাকলে নির্বাচন ঠেকাতে আসুক বিএনপি – ওবায়দুল কাদের

25

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপি আসুক বা না আসুক, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘বিএনপির যদি সাধ্য থাকে, নির্বাচন ঠেকাতে আসুক।’
আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি আরেকবার আত্মহত্যা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানী খেলার মাঠে ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তৃতা করছিলেন কাদের।
বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না বলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের হুঁশিয়ারির জবাবে কাদের বলেন, তিনি (মওদুদ আহমদ) আবার বলছেন, ‘বিএনপিকে ছাড়া নাকি নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না’। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। নির্বাচনও বিএনপি বা অন্য কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপির যদি সাধ্য থাকে ঠেকাতে আসুক।
কাদের বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি পারেননি। যদি আবারও পেট্রোল বোমা, সন্ত্রাস করে নির্বাচন ঠেকাতে যান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হবে বলেও আশাবাদ করেন তিনি।
৫ জানুয়ারিকে ‘বিএনপির রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে জনগণের গণতন্ত্রের বিজয় দিবস। আর বিএনপি‘র রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস।
‘তাহলে বিএনপি কী দিবস পালন করছে, রাজনৈতিক আত্মহত্যা দিবস? আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপিকে আরেকবার আত্মহত্যা করতে হবে।’
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বহুরূপী ব্যারিস্টার সাহেব আপনাকে সবাই চিনে। দেশে একটু ঝড়-ঝঞ্চা শুরু হলে বিদেশে পালিয়ে যান। ব্যারিস্টার মওদুদ সাহেব। ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে অবৈধ বাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেছেন। এই হচ্ছেন ব্যারিস্টার মওদুদ। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।