স্মরণ সভায় এড. মিসবাহ সিরাজ ॥ আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক ত্যাগী রাজনৈতিক

56

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেছেন, আব্দুর রাজ্জাক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ¯েœহভাজন ছিলেন। ছাত্ররাজনীতি থেকে তিনি গণরাজনীতিতে এসেছিলেন। তিনি এদেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। আদর্শের রাজনীতি করে গেছেন। তিনি আপাদমস্তক একজন দেশপ্রেমিক ত্যাগী রাজনৈতিক ছিলেন। তিনি জাতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন মানুষ মানবতা ও উন্নয়নের আজন্ম সাধক। আমাদেরকে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শকে বুকে ধারণ করতে হবে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আব্দুর রাজ্জাক স্মরণসভা উদ্যাপন পর্ষদের উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মুক্ত মঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী, জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আব্দুর রাজ্জাক স্মরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিকেল চারটায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে স্মরণ অনুষ্ঠারে কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর শহীদ মিনারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত আব্দুর রাজ্জাকের প্রতিকৃতিতে ফুল পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক-কে নিয়ে তৈরি ১৭ মিনিটের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
‘আব্দুর রাজ্জাক স্মরণসভা উদ্যাপন পর্ষদ’র আহবায়ক মুকির হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেবের সঞ্চালনায় স্মরণ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিরি সদস্য ও সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সচিব অধ্যাপক শরীফ সাদি।
আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সিকন্দর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজিত চৌধুরী, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম লস্কর রাজু, নারীমুক্তি সংসদ সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রানী সেন, কবি কাশমির রেজা ও ইয়াং বাংলার সিলেট সন্বয়কারী মো. শাহান আহমদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম সেলিম।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, এদেশের ভূখানাঙ্গারা মানুষের মুখে হাসি ফুঁটানোর জন্য রাজনীতি করতেন। তিনি কর্মী বান্ধব নেতা ছিলেন, নেতাকর্মী সমর্থক সৃষ্টি করতেন। তাঁর রাজনীতি ছিল দেশ ও মানুষের কল্যাণে। ক্ষমতার লোভে তিনি রাজনীতি করেননি। তিনি আদর্শের রাজনীতি করতেন। তিনি বলেন, আমরা আজ অনেক নেতাকেই দেখি; কিন্তু আব্দুর রাজ্জাকের মতো নির্লুভ নেতা রাজনীতিতে দুর্লব। বিজ্ঞপ্তি