বইপড়া উৎসবের উদ্বোধন ॥ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠের কোনো বিকল্প নেই

70

সিলেটে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার প্রত্যয় ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়েছে বইপড়া উৎসবের। শনিবার বিকেলে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ইনোভেটর এর আয়োজনে এই উৎসব উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, দেশপ্রেমের শিক্ষা দিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠের কোনো বিকল্প নেই। আর বই হচ্ছে ইতিহাসের ধারক। বৈচিত্র্যময় বই পাঠ আমাদের জীবনকে জ্যোতির্ময় করে তুলে। একাত্তর বাঙালির জীবনে সে রকমই একটি জ্যোতির্ময় অধ্যায়। বক্তারা তরুণদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ’ কেবল একটি শব্দ নয়; এর আড়ালে রয়েছে অত্যাচারীর নাগপাশ থেকে মুক্ত হওয়ার তীব্র আকাঙ্খা, সংগ্রাম আর মুক্তি অর্জনের প্রতিজ্ঞা। দেশপ্রেমিক একটি তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমেই কেবল মুক্তিযুদ্ধের অর্জন সমুন্নত রাখা সম্ভব। তারা আরো বলেন, ইনোভেটরের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার এ আন্দোলন নতুন পথের সন্ধান দেবে বিভ্রান্ত তরুণ প্রজন্মকে। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে ধারণ করা প্রজন্মই গড়ে তুলতে পারে স্বপ্নের সোনার বাংলা।
বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর নেতৃত্বে ও ইনোভেটরের সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম অনির তত্ত্বাবধানে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ইনোভেটরের মুখ্য সঞ্চালক ও সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমান, সিলেট জেলা প্রশাসক মোঃ রাহাত আনোয়ার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী মুসা ইব্রাহিম এবং বিজ্ঞানী ও অষ্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ জহিরুল আলম সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক প্রণবকান্তি দেব। ইনোভেটরের সদস্য জান্নাতুল নাজনীন আশা এবং নওরীন আক্তার কলির যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জয় বাংলা ইয়ুথ এ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ইনোভেটরের প্রধান সমন্বয়কারী জান্নাতুল ফেরদৌসী তারিন, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মোঃ শাহরিয়ার আহমদ ও রেদওয়ান আহমদ। এর আগে অতিথিদের বরণ করে নেন ইনোভেটরের সদস্য ফারহানা আহমেদ সোহা। বিজ্ঞপ্তি