জাতীয় নির্বাচনে রংপুরের নির্বাচনের কোন প্রভাব পড়বে না -অর্থমন্ত্রী

47

স্টাফ রিপোর্টার :
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের কোনো প্রভাব আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পড়বে না বলেই মনে করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল শুক্রবার সিলেটে বীমা মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, দেশের নির্বাচন পদ্ধতি যে নিরপেক্ষ- সেটাই রংপুরে প্রমাণ হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি স্থানীয় নির্বাচন। এর সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এর কোনো প্রভাব আগামী সংসদ নির্বাচনে পড়বে না।”
গোলযোগ না হওয়ায়, অনিয়মের অভিযোগ না-থাকায় রংপুরের নির্বাচন আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য মডেল হয়ে থাকবে বলে নির্বাচন কমিশন মনে করছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের শহর রংপুরে জাতীয় পার্টির অবস্থান যে খুবই শক্ত, সে বিষয়টিও স্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মুহিত, যিনি এরশাদের সরকারেও কিছুদিন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
দেশে যেখানে বহু রাজনৈতিক দল রয়েছে, সেখানে একেক জায়গায় একেক দলের প্রার্থী নির্বাচিত হবেন- এটা খুবই স্বাভাবিক। দেশের নির্বাচন পদ্ধতিতে যে নিরপেক্ষতা রয়েছে তা এই নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে।
এর আগে সিলেটের কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বীমা মেলার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী। পরে বীমা মেলার বিভিন্ন স্টল তিনি ঘুরে দেখেন। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইডিআরএর চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মানিক চন্দ্র দে বক্তব্য দেন। ৩২টি কোম্পানির অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এই বীমা মেলা শেষ হবে আজ শনিবার। এই মেলার উদ্বোধনে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের গ্রহকদের প্রায় ১৯ কোটি টাকার বীমার দাবিও নিষ্পত্তি করে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের মূল উৎসবে অর্থমন্ত্রী ও সিলেট- ১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন- ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনন্য অসাধারণ। এক্ষেত্রে আমি উল্লেখ করতে পারি আমার বন্ধু ড. আনিসুজ্জামান, তৎকালীন ভিসি ড. এ আর মল্লিকের কথা। বিশেষ করে উল্লেখ্য করা যায় চট্টগ্রামের সবাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন। কেউ স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেননি। সেই সব কীর্তিমানদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি আশাকরি আপনারা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবেন।’
তিনি শুক্রবার দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়কের নিকটবর্তী অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ডে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘চিটাগাং ইউনিভার্সিটি এক্স স্টুডেন্টস ক্লাব, সিলেট’ উদ্যোগে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ বছর দুদিন ব্যাপী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন মূল উৎসব শুক্রবার সকাল ১০ টায় উদ্বোধন করেন সিকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. মো. গোলাম শাহী আলম। মিলনমেলায় প্রায় ৬০০ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
ক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবির সাবেক ভিসি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, সাবেক ছাত্র নেতা মনজুরুল আলম, মোকাদ্দেস আলী মজুমদার শাহীন, ড. আহমদ আল কবীর, অধ্যাপক রফিকুর রহমান, তফজ্জুল হোসেন তপু, উপাধ্যক্ষ শফিক উদ্দিন, সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আখঞ্জি, অধ্যাপক সুজাত আলী রফিক, অধ্যক্ষ ও সাংবাদিক লিয়াকত শাহ ফরিদী ফরিদী, ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল, উদযাপন পর্ষদের আহ্বায়ক নাজমুল হক, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও উদযাপন পর্ষদের সদস্য সচিব এটিএম সোয়েব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হান্নান সেলিম, অধ্যাপক সাব্বির আহমদ, আমিনুল ইসলাম লিটন, সেতাব উদ্দিন খান, অধ্যাপক দেবাশীষ দেব, ইমতিয়াজ আহমদ বুলবুল, বদরুল ইসলাম শোয়েব, হুমায়ূন কবীর, হিমাংশু রঞ্জন দাস, অধ্যাপক আব্দুল জলিল, হারুনুর রশীদ প্রমুখ।