সিভিল সার্জন ও সিসিকের পৃথক মতবিনিময় ॥ সিলেটে ৫ লাখ ৮ হাজার ৫৭ শিশুকে ভিটামিন-এ খাওয়ানো হবে

44

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলার ১২ উপজেলার ২ হাজার ৫৬৩টি এবং সিলেট সিটি কপোরেশনের ২৭টি ওয়র্ডের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২২০টি টিকাদান কেন্দ্রে ৫ লাখ ৮ হাজার ৫৭ জন শিশুকে আগামীকাল শনিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে এবং বিকেলে সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানা গেছে।
এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬৯ শিশুকে ভিটামিন-এ খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাসের শিশুর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬৪৭ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৩ লাখ ৯৮হাজার ৩২২ জন শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশের ন্যায় সিলেটের ১২টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, “জেলার ১২ উপজেলায় অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র রয়েছে ২৪১৬টি, স্থায়ী টিকাকেন্দ্র ১২টি, অতিরিক্ত টিকাকেন্দ্র ৯৯টি, ও ভ্রাম্যমাণ ঠিকাকেন্দ্র রয়েছে ৩৬টি। টিকাদানে প্রতি কেন্দ্রে ৩ জন করে ৫ হাজার ১২৬ জন সেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের ১১শ’২৫ জন কর্মী ক্যাম্পেইন কাজে নিয়োজিত থাকবেন। তাছাড়া ক্যাম্পেইন করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ক্যাপসুল সরবরাহ রয়েছে বলে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আহমদ সিরাজুম মুনীরের সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরে আলম শামীম।
এদিকে, জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ডে আগামীকাল শনিবার মহানগরে প্রায় ৬৩ হাজার ৮৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ দিন সারাদেশে ন্যায় নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২২০ কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা এ কার্যক্রম চলবে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- “ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান”। মতবিনিময় সভায় আরো জানানো হয়েছে, নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে ৬৩হাজার ৮৮ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাসের শিশুর সংখ্যা ৫ হাজার ৬শ’৫৭ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৫৭ হাজার ১শ’৩৪ জন শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নগরী অস্থায়ী টিকাকেন্দ্র রয়েছে ১০২টি, স্থায়ী টিকাকেন্দ্র ৩০টি, অতিরিক্ত টিকাকেন্দ্র ৫৫টি, ও ভ্রাম্যমাণ ঠিকাকেন্দ্র রয়েছে ৩৩টি। টিকাদানে প্রতি কেন্দ্রে ২ জন করে ৪৪০ জন সেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।’ এছাড়া ক্যাম্পেইন করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ক্যাপসুল সরবরাহ রয়েছে বলে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ধ্র“ব পুরকায়স্থের পরিচালনায় মতবিনিময়ে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, যদি কোন শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ‘ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে সেই শিশুকে আর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া, কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে শিশুকে খাওয়ানো যাবে না। কোন শিশুকে আস্ত বা গোটা খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ক্যাপসুলের ভিতরের তরল টুকু খাওয়াতে হবে।