বিশ্বনাথ মুক্ত দিবসের সভায় বক্তারা ॥ রাজাকারদের তালিকা ও অফিস উদ্ধারের দাবি

15

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে সংরক্ষণ করে মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করে রাখতে হবে। না হয় কিছুদিন পর গ্রামে গঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিলীন হয়ে যাবে। রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি আরও বলেন, বিশ্বনাথে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত মুক্তিযুদ্ধা সংসদের অফিস দখলমুক্ত করতে হবে। বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনভাবে বিশ্বনাথের রাজাকারদের তালিকা জরুরী ভিত্তিতে তৈরী করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক আল-আজাদ বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পুরো বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও জাতির গর্বিত সন্তানরা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১০ডিসেম্বর বিশ্বনাথকে পাক হানাদার মুক্ত করেন। তিনি বলেন, এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল ইতিহাসকে বিকৃত করতে গিয়ে পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে না ধরে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য নবীন সোহেলের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেযারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরতুজ আলী, প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এএইচএম ফিরোজ আলী। সভায় প্রেসক্লাবের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোছাদ্দিক হোসেন সাজুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মামুন, নির্বাহী সদস্য আশিক আলী, বিশ্বনাথ থিয়েটার সভাপতি আনহার আলী।