২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চলতি মাসেই নবনির্মিত নগর ভবনের উদ্বোধন

23

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্মিত নগর ভবনের উদ্বোধন হচ্ছে চলতি মাসেই। আগামী ২২ ডিসেম্বর ভবনটি উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। পাঁচতলা পর্যন্ত নির্মিত ভবনটিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশারর হোসেন এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ভবনটির উদ্বোধন করবেন।
অর্থমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও নগরীর ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ সিরাজও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সরকারি সফরসূচিতে ২২ ডিসেম্বর সিলেট সিটি করপোরেশনের ভবন উদ্বোধনের বিষয়টি রয়েছে।’
নগর ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভবনটির উদ্বোধনেও প্রধানমন্ত্রীকে চেয়েছিল সিসিক। তবে তাঁর সময় পাওয়া যায়নি।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, কয়েক দশক ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে সিলেট পৌরসভা এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চলে আসছিল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সিলেট সিটি করপোরেশনের জন্য নতুন নগর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঢাকার ‘স্থপতি সংসদ’ নামক স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ১২ তলা ভবনটির নকশা করে, নির্মাণ কাজ পায় সালাম ব্রাদার্স ও মাহবুব ব্রাদার্স নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২৪ মার্চ নতুন নগর ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ওই সময় নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। তবে ধাপে ধাপে সে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২৫ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান সম্প্রতি বলেন, সময়ের সাথে সাথে ব্যয় বেড়েছে। ২৫ কোটি টাকায় ১২ তলা ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকি সাততলার নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে আরো ৩৫ কোটি টাকা লাগতে পারে। নতুন ভবনটি ভূমিকম্প সহনীয় করে আধুনিকতার মিশেলে নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনটিতে সবধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও বিদ্যমান।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, আমি যতোদূর শুনেছি, ২২ ডিসেম্বর ভবনটির উদ্বোধন হওয়ার কথা।
উল্লেখ্য, নগরীর বন্দরবাজারে নতুন নগর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম তোপখানাস্থ পীর হবিবুর রহমান পাঠাগারের ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর সেখানেই চলে সিসিকের কার্যক্রম। সম্প্রতি নতুন নগর ভবনে ফিরেছে সিসিকের কার্যক্রম।