জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ বির্নিমাণ – শিক্ষামন্ত্রী

57

বিয়ানীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি সুখী সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণ। কিন্তু তিনি সেপথে অগ্রসর হতে না হতেই ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। দেশকে আবারও পেছনে নিতে শুরু হয় চক্রান্ত। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে উন্নত দেশগড়ার কাজে মনোযোগ দেন। দেশ এগুতে থাকলে আবারও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের বারোটা বাজায়। এজন্য বর্তমান সরকারকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে হবে। তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণসহ আমরা উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগুতে পারবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী রাজনীতির দুঃসময়ে মনিরুল ইসলাম ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তিনি পায়ে হেঁটে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের বুঝিয়ে দলের পতাকাতলে সমবেত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন কর্মীবাহিনীর প্রত্যেকেই আজ সমাজের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছেন।
তিনি আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ অর্জিত হলে মনিরুল ইসলামের মতো ত্যাগী কর্মীদের জীবন সার্থক হবে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রয়াত মনিরুল ইসলাম মিম্বই স্মরণ সভা ও ‘সারথি’ স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে প্রয়াত মনিরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
মনিরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক ও বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মো. নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুস শুকুর, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজি আব্দুল হাছিব মনিয়া, সহসভাপতি আলহাজ মোঃ নাজিম উদ্দিন।
মনিরুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক নেতা খালেদ সাইফুদ্দিন জাফরীর পরিচালনায় স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে প্লাটুন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মুছব্বির আলী, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি হোসেন আহমদ, কলেজের সাবেক ভিপি ও বড়লেখা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ দাশ নান্টু, কলেজের সাবেক জিএস হারুনুর রশীদ দিপু, সাবেক এজিএস সেলিম উদ্দিন, সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক কবির আহমদ খান, সিলেট ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের শিক্ষক আব্দুল মালিক, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার, অরুণ চক্রবর্তী, ফকিরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাময় ভট্টাচার্য্য, দাসউরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা ছায়ফুল আলম মাখন, বেলাল আহমদ প্রমুখ।
স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বাবুল ও মো. জাকির হোসেন, শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, গৌছ উদ্দিন খান খোকা ও বিয়ানীবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ছাদেক আহমদ আজাদ প্রমুখ।