ফুটপাত দখলকারী আরো ৫ আসামীর আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ

25

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ফুটপাত দখলকারী ও আশ্রয়দাতা আরো ৫ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে ৫ আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিন আবেদন করেন। তাদের জামিন আবেদন শুণানী শেষে সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী আইয়ুব আলী ও আদালতের লকাপ ইনচার্জ এএসআই শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে প্রেরণকৃত পরোয়ানাভূক্ত আসামীরা হচ্ছে- ফরিদপুর জেলার মধুখালি থানার এলাইছার গ্রামের মহানগর হকার্স কল্যাণ সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি মৃত ইমাম উদ্দিন মোল্লার পুত্র বর্তমানে জিন্দাবাজার কাজী ইলিয়াছ পলাশ ৩৯/৪২ নং বাসার বাসিন্দা আতিয়ার রহমান, দক্ষিণ সুরমা সিলাম টিল্লাপাড়ার মৃত আখফু মিয়ার পুত্র শফিক আহমদ, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার সিদলাই গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র বর্তমানে জিন্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশার, জকিগঞ্জ থানার বীরশ্রী বালিগ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র বর্তমানে জিন্দাবাজার তিনতারা বিপণীর বাসিন্দা আব্দুল আহাদ ও শাহপরান থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের দলইপাড়ার মহানগর হকার্স কল্যাণ সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৃত আব্দুল হালিমের পুত্র মো: খোকন ইসলাম। এ নিয়ে বর্তমানে ২৬ গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ফুটপাতের মূল হোতা হকার্স সমিতির সভাপতি রকিব আলীসহ ৯ আসামী কারাগারে আটক রয়েছে। বাকী ১৭ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
এর আগে কারাগারে আটক থাকা রকিব আলী, রুমন আহমদ, রুহুল আমিন রুবেল ও মখলিছুর রহমান গতকাল আইনজীবীর মাধ্যমে ওই আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক মো: সাইফুজ্জামান হিরো তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেনকে আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৭ গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে ওয়ারেন্ট তামিলের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এপিপি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে ১৬ অক্টোবর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন ফুটপাত দখলকারীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে ৩৮ জনের তালিকা আদালতে জমা দেন। সেই তালিকা অসম্পূর্ণ হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এই তালিকার জমা দেওয়ার পর আদালত ২৬ জনের বিরুদ্ধে ১৪০৬/২০১৭ নং সিআর মামলা নথিভুক্ত করেন। এরপর এদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।