কুলাউড়ার চাতলাপুর চা বাগানে শ্যালকের দায়ের কোপে ভগ্নিপতি নিহত, ঘাতক শ্যালক আটক

56

পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে :
পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য কলহে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চাতলাপুর চা বাগানে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থানরত স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে শ্যালক শশ থন বাউরীর দায়ের কোপে নিহত হলেন আপন ভগ্নিপতি স্মরণ বাউরী (৪৫)। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটায় চাতলাপুর চা বাগানের বাউরী টিলা শ্রমিক বস্তিতে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ চা শ্রমিকরা ঘাতক শ্যালক শশ ধন বাউরীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
চাতলাপুর চা বাগান সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০/১২ বছর পূর্বে একই চা বাগানের বাউরী টিলার শ্রমিক বস্তির স্বামী স্মরণ বাউরী (৪৫)-ও সাথে লতিকা বাউরীর (৩৮) বিয়ে হয়েছিল। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক নানান কারণে বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মাঝে দাম্পত্য বিরোধ শুরু হয়। এ বিরোধের জের ধরে মাস খানেক আগে স্ত্রী লতিকা বাউরী অভিমান করে তিন সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি এসে অবস্থান নেয়। স্বামী স্মরণ বাউরী মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর স্ত্রী সন্তানদের ফিরিয়ে নিতে শ্বশুর বাড়ি যায়। সেখানে স্ত্রী ও শ্যালকের সাথে শুরু হয় বাক বিতন্ডা। রাত সাড়ে সাতটায় এক পর্যায়ে শ্যালক শশ ধন বাউরী তার ভগ্নিপতি স্মরণ বাউরীকে ধারালো দা দিয়ে একাধিকবার কুপ দিলে ঘটনাস্থলেই ভগ্নিপতি নিহত হন। ভগ্নিপতিকে হত্যার পর আবার শ্যালক লাশের পাশে বসে থাকে। ঘটনাটি সারা চা বাগানে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ চা শ্রমিকরা এসে ঘাতক শ্যালক শশ ধন বাউরীকে আটকিয়ে রাখে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার সার্কেল এসপি মো: আবু ইউছুফ এবং ওসি (তদন্ত) বিনয় ভূষন রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘাতক শ্যালক শশ ধন বাউরীকে গ্রেফতার করে। কুলাউড়া থানার এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, রাতে নিহতের লাশের সুরতহাল তৈরী করে লাশ উদ্ধার করে বুধবার ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) বিনয় ভূষন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একেবারে পারিবারিক এক বিরোধে রাগের মাথায় এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। ঘাতক শ্যালক নিজেও হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এখন নিহতের পরিবারের পক্ষে কেই অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসাবে গ্রহণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।