বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করায় কনসার্ট সম্পন্ন

39

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার’-এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যেমে “বিশ^প্রামাণ্য ঐতিহ্যের” স্বীকৃতি লাভ করায় সিলেট জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ২৫ নভেম্বর সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। কনসার্টের অংশ হিসেবে সকাল ১০:৩০টায় সিলেট জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নৃত্যের মাধ্যমে বরণ করা হয়। সকালের অন্যান্য পরিবেশনার মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, নৃত্য, উন্নয়নের জারিগান ও আবৃত্তি। সন্ধ্যা ৬টায় একই স্থানে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যার পরিবেশনার মধ্যে ছিল ৭ই মার্চের ভাষণ, নৃত্য, একক ও দলীয় সংগীত এবং আবৃত্তি। দলীয় পরিবেশনায় ছিল শিল্পকলা একাডেমি, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, নৃত্যশৈলী, ছন্দনৃত্যালয়, মৃত্তিকায় মহাকাল, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, নবারূন সংগীত বিদ্যালয় এবং একক সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশনায় ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ লোকসংগীত শিল্পী সুষমা দাস, বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হিমাংশু বিশ^াস ও বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল। পুরো অনুষ্ঠানের সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তিগুলো ছিল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপনা দানকারী গান ও কবিতার সমন্বয়ে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন যথাক্রমে সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত ও অনিমা দে তন্বী। অনুষ্ঠানের গ্রন্থণা ও পরিকল্পনায় ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আরিফুর রহমান এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ রাহাত আনোয়ার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি