নবীগঞ্জে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রীর অনশন অব্যাহত, বিয়ে না করার প্রতিজ্ঞা ইউপি সদস্যের

37

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জে ইউপি সদস্যের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রী কলসুমার ৩য় দিনের মতো অনশন অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ও বাগাউড়া গ্রামের জালাল উদ্দিন এর পুত্র দুলন মিয়ার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে গত বুধবার থেকে অনশন করে আসছে একই গ্রামের ছনর আলীর মেয়ে নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্রী কলসুমা বেগম (২৩)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে উক্ত বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে ইউপি সদস্য দুলন মিয়ার বাড়িতে বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশিক মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ছুবাসহ এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিয়ানদের সমন্বয়ে একটি সালিশ বসে। এ সময় ছাত্রী কলসুমা বেগম পঞ্চায়েতের কাছে দাবী করে বলেন, বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক, আমি অপ্রাপ্ত বয়সী থাকাকালিক বিয়ে করেছেন, তখন আমার বয়স ১৮ হয়নি বলে নানা অজুহাত দেখান দুলন মিয়া, আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে অনশন অব্যাহত থাকবে। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত মুরব্বিয়ান কলসুমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার জন্য রায় প্রদান করলেও রায় প্রত্যাখ্যান করে কলসুমাকে বিয়ে করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করে। এদিকে পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এ বিষয়ে বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক মিয়া জানান, আমরা মুরব্বিয়ানরা সমাধানের লক্ষ্যে বসে কলসুমাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত দিলে দুলুন সে সিদ্ধান্ত মেনে নেয়নি, আমাদের রায়কে অমান্য করেছে। উল্লেখ্য ইউপি সদস্য দুলন মিয়া সাংসারিক ভাবে ২ সন্তানের জনক, দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ বন্ধনে অবদ্ধ থাকলেও দুলন মিয়ার সাথে একই গ্রামের ছনর আলীর মেয়ে নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের স্নাতক ১ম বর্ষের ছাত্রী কলসুমা বেগম (২৩) এর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এরই জের ধরে গত বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিয়ের দাবিতে ইউপি সদস্য দুলন মিয়া’র বাড়িতে অনশন করে আসছে কলসুমা। এ খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ইউপি সদস্য দুলন মিয়া’র বাড়িতে ভিড় জমান। সংবাদটি লেখা পর্যন্ত কলসুমা বেগম ইউপি সদস্য দুলন মিয়া’র বাড়িতে অনশনরত অবস্থায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।