গোলাপগঞ্জে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ, আহত ৭

52

সেলিম হাসান কাওছার, গোলাপগঞ্জ থেকে :
গোলাপগঞ্জে বালু মহাল নিয়ে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার বালু খেকো চক্র স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নামমাত্র ইজারা দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করেই চলেছে। নদীর তীবর্তী লোকজনের বাধাকে উপেক্ষা করে বারবার একের পর এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। গোলাপগঞ্জে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে এলাকাবাসীরর কঠোর প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় উপজেলার সরকার দলীয় চিহ্নিত বালু খেকো চক্র। এ সময় ওই চক্র এলাকাবাসীর উপর গুলিবর্ষণ ছাড়াও অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ২জন গুলিবৃদ্ধসহ ৬/৭ জন আহত হন হয়েছেন। আহতদের সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার এ ঘটনার পর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার স্বরসতি কান্দিগাঁও খেয়াঘাটের পার্শ্বে সুরমা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে বালু খেকোরা। এ সময় এলাকাবাসী বাধা দিলে ড্রেজারে থাকা বালু খেকো সন্ত্রাসীরা এলাকাবাসীরউপর গুলিবর্ষণ করে। এলাকাবাসী বাধাকে উপেক্ষা করে তাদের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় রুহেল আহমদ (২৪), সালাউদ্দিন (২৬) ও সফই মিয়া (৩০) গুলিবৃদ্ধ হন। অন্যান্য আহতদের তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা যায়নি। নিরাপত্তার অভাবে আহতদের সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকাবাসীরা দাবি করে বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আকবর আলী ফখরের ইন্ধনে এ হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর ধারণা ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশংকা রয়েছে। জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) মীর মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর এম ফজলুল আলম এ বিষয়ে বলেন, অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলনের বিষয়টি বার বার স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করার পরও তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম জানান, বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় শটগান দিয়ে গুলি ছুঁড়ে বালু উত্তোলনকারীরা। আমি গ্রামবাসীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেছি, তারা মামলা দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তিনি আরো জানান, শুনেছি যারা বালু উত্তোলন করতেছে, তারা সরকার দলীয় লোক। তারা যে দলেই হোক প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।