শ্রীমঙ্গলে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর দায়ে শিক্ষকের এক মাসের কারাদন্ড

101

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলছাত্রী ( ১৫) যৌনহয়রানীর দায়ে ওই স্কুলের শিক্ষক ভুবেন্দ্র শর্ম্মা (৩৫) কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
৮ নভেম্বর বুধবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোবাশশেরুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা শিক্ষক বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট এলাকায়। তিনি ওই বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাকে গতকাল বিকেলে মৌলভীবাজার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্কুল ছাত্রী জানান, আমি ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। অত্যন্ত গরীব পরিবারের মেয়ে হওয়ায় আমার ভাই-বোন বেশী থাকায় আমি নিজে প্রাইভেট পড়িয়ে লেখাপড়া করি। পরীক্ষার ফরম ফ্রি বাবত তিন হাজার চারশত টাকা আমার কাছে না থাকার কারণে ওই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক ভুবেন্দ্র স্যারকে বিষয়টি জানাই। তিনি আমার নিকট থেকে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি আবেদন লিখতে বলেন। তিনি আশ্বাস দেন তিনি আলাপ করে ফ্রি কমিয়ে দিবেন। এক পর্যায়ে স্যারের বাসায় কোচিং পড়ার কথা বলেন। স্যারের কথা মতে বাসায় যাই। পড়ার সময় স্যার আমার গায়ে স্পর্শ করতে থাকেন। স্যারের কু- মতলব বুঝতে পেরে বাসা থেকে চলে আসে। তারপরও স্যার আমার পিছু ছাড়েননি। তিনি আমাকে মোবাইল ফোনে কুস্তাব দিতেন যে, তাহার বাসায় একা যেতে। এমনকি মোবাইলে তিনি নোংরা ভাষায় কথা বলেন। বুধবার সকালে স্যার মোবাইলে বলেন যে, তোমার ম্যাডাম (ভুবেন্দ্র স্যারের স্ত্রী) বাসায় নেই, তোমার কাজ হয়ে গেছে। দুই হাজার টাকা দিলে হবে। তুমি আমার বাসায় এসে আমাকে একটু সময় দিয়ে যাও। আমি এসব শুনে হতভম্ব হয়ে যাই। পরে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিক ও স্কুলের হেড ম্যাডামের কাছে অভিযোগ করি।
শ্রীমঙ্গল উদয়ন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কবিতা রাণী পাল বলেন, সে আমার খন্ডকালীন শিক্ষক ছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই। তিনি পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেল জরিমানা করেছেন। তিনি আরও বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সভা আহবান করেছি। সাজাপ্রাপ্ত ওই শিক্ষক আমার প্রতিবেশি।