৩৫ করদাতাকে সম্মাননা প্রদান ॥ সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা সম্পন্ন

31

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এ মেলা।
আয়কর মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান সিলেট কর অঞ্চলের কর কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ’র সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. তোহিদুল ইসলাম’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার নাজমানারা খানুম, বিশেষ অতিথির হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, সিলেট চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ’র সভাপতি খন্দকার শিপার আহমদ, সিলেট মেট্টোপলিটন চেম্বারের সভাপতি হাছিন আহমদ।
৭দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার নাজমানারা খানুম বলেন, মানুষ কর দিচ্ছেন বিধায় সরকার পদ্মাসেতু করতে সক্ষম হচ্ছে। ভিশন-২০২১ ও রূপকল্প বাস্তবায়নের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। আয়কর বিভাগ সফল হওয়ায় দেশের উন্নতি হচ্ছে। সিলেট কর অঞ্চলের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই কর অঞ্চল ধারাবাহিকভাবে সেরা হওয়ার কৃতিত্ব ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কর প্রদানে এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। যারাই কর প্রদানের যোগ্য হচ্ছেন, তারাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর দিচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের স্বেচ্ছায় কর প্রদানে সচেতনতায় তাদের বেলায় কোনো আইন প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেটের কর কমিশনারের উদ্যোগের প্রশংসা করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, করদাতারা অসুস্থ হলে তাদের সহযোগিতায় চিকিৎসা সহায়তা, করদাতাদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া ও গাড়ির স্টিকার প্রদানসহ নিত্যনতুন পরিকল্পনার প্রণয়নের মাধ্যমে কর প্রদানে মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করছেন কর কমিশনার। যে কারণে সিলেট কর অঞ্চল উত্তরোত্তর সাফল্য পাচ্ছে, সেরা হচ্ছে। তবে ফরম পূরণে জটিলতা নিরসনে সহজীকরণের তাগিদ দিয়ে নাজমানারা খানুম বলেন, যাতে করদাতারা তার ফরম পূরণের জন্য ঝামেলা পোহাতে না হয়, কিংবা বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ না হতে হয়।
কর অঞ্চল সিলেটের যাবতীয় কার্যক্রম ও কর বিষয়ক নির্দেশনা বিষয়ক হ্যান্ডবুকের মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। অনুষ্ঠান শেষে সিলেট কর অঞ্চলের সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদী ৩৫ জন করদাতা, সেরা করবাহাদুর চারটি পরিবারের হাতে সম্মাননা সনদ ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।