শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরু ॥ প্রথম দিনে সিলেট বোর্ডে অনুপস্থিত ৪৫২ জন

63

কাজিরবাজার ডেস্ক :
চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট-জেএসসি ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফেকেট-জেডিসি পরীক্ষা গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম দিন জেএসসিতে বাংলা প্রথমপত্র এবং জেডিসিতে কুরআন মাজীদ ও তাসবিদ বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ২৮ হাজার ৬২৮টি স্কুল ও মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর ২৩ লাখ ৯০ হাজার ১৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রথম দিনে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থী ছিল ৬০ হাজার ৮৯৩ জন। অন্যদিকে পরীক্ষায় নকলের দায়ে ১৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুই হাজার ৮৩৪টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, জেএসসিতে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১৩ হাজার ৮৭৮, রাজশাহী বোর্ডে চার হাজার ৮১২, কুমিল্লা বোর্ডে চার হাজার ৬৭০, যশোরে পাঁচ হাজার ৩০, চট্টগ্রামে দুই হাজার ৯০৩, সিলেটে দুই হাজার ৪৫২, বরিশালে তিন হাজার ৩৭৬ এবং দিনাজপুর বোর্ডে চার হাজার ২৫৭ জন রয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ১৯ হাজার ৫১৫ জন অনুপস্থিত ছিল।
এছাড়া জেএসসিতে আট বোর্ডে ছয়জনকে অসদুপায় অবলম্বনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে চারজন ও যশোর বোর্ডে দুইজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া জেডিসিতে নয়জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরক্ত সচিব মো. মহিউদ্দিন খান।
কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কিংবা প্রশ্ন ফাঁসের খবর পাওয়া যায়নি। পর্যায়ক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে চাপ কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোমলমতি শিশুদের ওপর চাপটা যাতে কম পড়ে। পৃথিবীর অনেক দেশে, প্রাথমিক স্তরে বই বাসায় আনতে দেয়া হয় না। আমাদের শিশুরা বইয়ের ভারে নুইয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে শিশুদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমিয়ে তাদের জীবনটাকে কী করে আনন্দময় করা যায়, সেজন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করে। এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি পত্রে ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষায় বসতে হবে। বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ এসএসসির মত দুই অংশে আলাদাভাবে পাসের প্রয়োজন নেই।
এবারো জেএসসি ও জেডিসিতে বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে নেয়া হচ্ছে। তবে জেএসসির নিয়মিত শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্মী ও জীবনমুখী শিক্ষা এবং চারু ও কারুকলা বিষয়ের পরীক্ষা হবে না। এ তিন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সরবারহ করবে। পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। তবে কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কারো পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।