বাজারে সবজীর দাম বেশী, ডিমের দাম কম

137

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীতে কয়েক দফায় সবজীর দাম বেড়ে গেছে। সম্প্রতি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নতুন সবজী এখনও বাজারে উঠেনি। তবে দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে ডিমের। মাছ, মাংস, সবজির বিকল্প হিসেবে ডিমের ব্যবহার থাকায় বাজারে ডিমের চাহিদা এখন তুলনামূলক বেশি।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে যে পরিমাণ ডিমের চাহিদা রয়েছে তার সাথে যোগানও রয়েছে পরিমাণ মতো। এদিকে সবজির দাম কয়েক দফা বাড়লেও চলতি সপ্তাহে কয়েক জাতের সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, শিবগঞ্জবাজার, রিকাবিবাজার, মদিনা মার্কেটসহ বেশির ভাগ জায়গায়ই লাল ডিম হালি প্রতি ৩০-৩২ টাকা, হাসের ডিম ৪২-৪৪ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৫৮-৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এসময় বেশির ভাগ ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, সবজির ঊর্ধ্ব মূল্যের কারণেই ডিমের চাহিদা বেশি। তাছাড়া ডিম রান্না করে খাবার উপযোগী করতে কম সময় ব্যয় হওয়ায় মাছ, মাংস বা সবজির বিকল্প হিসেবেই ডিমের ব্যবহার বেশি।
সবজি ব্যবসায়ী মাসুক মিয়া জানান, মাস খানেক থেকে সবজির দাম কয়েক দফা বাড়লেও এই সপ্তাহে কিছু কিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, সবজির দাম যখন বেড়েছিলো তখন আলু প্রতি কেজি ১৫-১৮ টাকা, জিঞ্জিগা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, কাকরুল প্রতি কেজি ৫৫-৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা এবং কাচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০-১৫০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। কিন্তু এখন পটল প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা, কাকরুল প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা, শসা ৫৫-৬০ টাকা, করোলা প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তবে অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে তিনি জানান।
লালবাজারের ডিমের পাইকারি বিক্রেতা আমজাদ স্টোর এর মালিক আমজাদ মিয়া জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয় দিনাজপুর, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এইবার ডিম উৎপাদনের পরিমাণ বেশি। এইসব জায়গা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে। তাই সবজির দামের ঊর্ধ্ব মূল্যের কারণে ডিমের চাহিদা বাড়লেও ডিমের দাম বাড়েনি। তবে আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে দুইদিন ডিমের দাম বাড়লেও এখন আবার কমেছে। তিনি জানান, পাইকারি বাজারে লাল ডিমের হালি ২৮ টাকা, হাসের ডিম ৪০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৫৫ টাকা ও কুহেল পাখির ডিম বিক্রি করছেন ৮ টাকা হালি।
বন্দরবাজারের খুচরা ডিম বিক্রেতা জামান আহমদ জানান, সবজির দাম বেশি হওয়ায় এখন ডিম তুলনামূলক বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া ডিমের দামও কম। আগে প্রতিদিন সকল জাতের ডিম মিলে ৬০০ থেকে ৭০০ ডিম বিক্রি করা সম্ভব হলেও এখন প্রতিদিন অন্তত ১২০০ থেকে ১৩০০ ডিম বিক্রি করেন তিনি। লাল ডিম ৩০ টাকা, হাসের ডিম ৪২ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৫৮ টাকা ও পাখির ডিম ১০ টাকা দামে বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।
নগরীর শাহজালাল উপশরের বাসিন্দা কামরান আহমদ জানান, সবজির দাম অনেক বেশি। তাছাড়া মাছেরও দাম কম না। তাই ডিমই এখন একমাত্র ভরসা। তাছাড়া ব্যাচেলরদের জন্য ডিম রান্না করাটাও সহজ। তাই এতো ঝামেলা না করে বেশির ভাগ সময় ডিমই কিনে নেই। তাছাড়া ডিম সব সময় কাজে লাগে। সকালের নাস্তা হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তাই বেশির ভাগ সময়ই ডিম কিনে নেন বলে জানান তিনি।