কমলগঞ্জে চা শ্রমিক কন্যা শ্লীলতাহানীর শিকার

32

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ডবলছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক কন্যা এক স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতহানীর অভিযোগ উঠেছে। বাধা দেওয়ায় মারধর করা হয়েছে স্কুল ছাত্রীসহ তার মা ও বৃদ্ধ নানীকে। আহতরা মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বখাটে তার চাচাসহ প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিযে গেলেও আক্রান্তরা থানায় অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছেন না। আক্রান্ত ছাত্রী কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর ইউনিয়নের ডবলছড়া চা বাগানের লক্ষ্মী অলমিক এর মেয়ে মনি অলমিক চিতলীয়া জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী।
স্কুল ছাত্রী মনি অভিযোগ করে বলেন, তিনি স্কুলে যাওয়া আসার সময় একই বাগানের আপ্পনা কান্ডালুর ছেলে যতিশ কান্ডালু তাকে উত্যক্ত করতো। যতিশ তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। কিন্তু মনি তাতে রাজি হয়নি। মনির মা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণকে অবহিত করেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৫ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে যতিশ কান্ডালু মনির ঘরে প্র্রবেশ করে তাকে একা পেয়ে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানী করে। মনির চিৎকারে তার মা ছুটে আসলে যতিশ বাইরে গিয়ে লাঠিসোটা ও দা নিয়ে তার চাচা আপল স্বামী পাশী, চাচাতো ভাই রনি পাশী নাইডু, চাচী গায়রামা পাশীকে সাথে নিয়ে মনিদের ঘরে হামলা চালায়। হামলায় মনির মাথা ফেটে যায় এবং মনির মায়ের ডান হাত ভেংগে যায়। এছাড়া মনির বৃদ্ধ নানীও আহত হন। আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতরা প্রথমে ক্যামেলিয়া ডানকান হাসপাতাল, পরে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সর্বশেষ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন। মনির মা লক্ষ্মী বলেন, আপল স্বামী পাশী বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সম্পাদক। স্থানীয়ভাবে সে একজন প্রভাবশালী। সে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেখাচ্ছে। তার ভয়ে আমরা থানায় মামলা করতে পারছি না। অভিযুুক্তদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।