আবারও লজ্জার হার, সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

55
South African Faf du Plessis (R) congratulates Dwaine Pretorius for taking the wicket of Bangladesh's Imrul Kayes (L) during the second one day international (ODI) cricket match between South Africa and Bangladesh at the Boland Park, in Paarl, on October 18, 2017. / AFP PHOTO / RODGER BOSCH

স্পোর্টস ডেস্ক :
শোচনীয় বোলিং ব্যর্থতার পর হতাশার ব্যাটিং। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আরেকটি লজ্জা। এবি ডি ডিভিলিয়ার্সের

South African Faf du Plessis (R) congratulates Dwaine Pretorius for taking the wicket of Bangladesh's Imrul Kayes (L) during the second one day international (ODI) cricket match between South Africa and Bangladesh at the Boland Park, in Paarl, on October 18, 2017. / AFP PHOTO / RODGER BOSCH
South African Faf du Plessis (R) congratulates Dwaine Pretorius for taking the wicket of Bangladesh’s Imrul Kayes (L) during the second one day international (ODI) cricket match between South Africa and Bangladesh at the Boland Park, in Paarl, on October 18, 2017. / AFP PHOTO / RODGER BOSCH

দানবীয় ব্যাটিংয়ে (১৭৬ রান) দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০৪ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। ফলে, এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ হেরে গেল মাশরাফি বাহিনী। সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ অক্টোবর (রবিবার)।
বুধবার পার্লে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৩৫৪ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.৫ ওভারে ২৪৯ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের পক্ষে ইমরুল কায়েস ৬৮ ও মুশফিকুর রহিম ৬০ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্দিল ফেহলাকওয়েও ৪টি, ইমরান তাহির ৩টি, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২টি ও ডেন প্যাটারসন ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রান করে। দলের পক্ষে এবি ডি ভিলিয়ার্স ১৭৬, হাশিম আমলা ৮৫, কুইন্টন ডি কক ৪৬ ও জেপি ডুমিনি ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে রুবেল হোসেন চারটি ও সাকিব আল হাসান দুইটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৪৪ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। ফেরার আগে তিনি করেন ২৩ রান। তামিমের পর সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ইনিংসের ১১তম ওভারে আন্দিল ফেহলাওয়েওর বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১৪ রান।
এরপর ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। দলীয় ১৬২ রানে ইমরান তাহিরের বলে এবি ডি ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ হন ইমরুল কায়েস। তিনি করেন ৬৮ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ইমরুল কায়েসের এটি ১৪তম অর্ধশত।
দলীয় ১৭১ রানে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ইমরান তাহিরের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সাকিবের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৫ রান। এরপর আউট হন মুশফিকুর রহিম। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে জেপি ডুমিনির হাতে ক্যাচ হন তিনি। মুশফিকের সংগ্রহ ৬০ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার ২৭তম হাফ সেঞ্চুরি।
দলীয় ২১৯ রানে ফিরে যান সাব্বির রহমান। ইমরান তাহিরের বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ হন তিনি। সাব্বির করেন ১৭ রান। ইনিংসের ৪৪তম ওভারে আন্দিল ফেহলাকওয়েওর বলে বোল্ড হন নাসির হোসেন। ১১ বল খেলে তিন রান করেন তিনি। একই ওভারে এলবিডব্লিউ হন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এরপর ইনিংসের ৪৬তম ওভারে আন্দিল ফেহলাকওয়েওর বলে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি করেন ৩৫ রান। ৪৮তম ওভারে ডেন প্যাটারসনের বলে বোল্ড হন রুবেল হোসেন। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন এবি ডি ভিলিয়ার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ১০৪ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস: ৩৫৩/৬ (৫০ ওভার)
(হাশিম আমলা ৮৫, কুইন্টন ডি কক ৪৬, ফাফ ডু প্লেসিস ০, এবি ডি ভিলিয়ার্স ১৭৬, জেপি ডুমিনি ৩০, ফারহান বিহারডাইন ৭*, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ০, আন্দিল ফেহলাকওয়েও ০*; মাশরাফি বিন মর্তুজা ০/৮২, তাসকিন আহমেদ ০/৭১, সাকিব আল হাসান ২/৬০, নাসির হোসেন ০/৪৯, রুবেল হোসেন ৪/৬২, সাব্বির রহমান ০/১১, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ০/১৬)।
বাংলাদেশ ইনিংস: ২৪৯ (৪৭.৫ ওভার)
(তামিম ইকবাল ২৩, ইমরুল কায়েস ৬৮, লিটন দাস ১৪, মুশফিকুর রহিম ৬০, সাকিব আল হাসান ৫, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩৫, সাব্বির রহমান ১৭, নাসির হোসেন ৩, মাশরাফি বিন মর্তুজা ০, তাসকিন আহমেদ ৩*, রুবেল হোসেন ৮; কাগিসো রাবাদা ০/৪০, ডেন প্যাটারসন ১/৬৭, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ২/৪৮, আন্দিল ফেহলাকওয়েও ৪/৪০, ইমরান তাহির ৩/৫০)।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।