কোর্ট পয়েন্ট এর অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে ৮টি লেগুনা জব্দ, অভিযান অব্যাহত

54

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে ৮টি লেগুনা গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ৮টি লেগুনা জব্দ করে থানার মালখানায় নিয়ে যায়। সেখানে জব্দকৃত গাড়িগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোর্ট পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে, যাতে কোর্ট পয়েন্টে কোনো লেগুনা গাড়ি দাঁড়াতে না পারে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে ও ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের চলাচল সুগম করতে আদালতের নির্দেশনায় সিলেট সিটি করপোরেশন হার্ডলাইনে অভিযানে নামে। সিটি কপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ যৌথভাবে গতকাল বিকেল ৩টায় কোর্ট পয়েন্টে দাঁড় করা লেগুনা গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন। এ সময় পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে ৮টি লেগুনা গাড়ি জব্দ করে। বাকি গাড়িগুলো দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে কোর্ট পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর ফলে কোর্ট পয়েন্টে আর কোনো লেগুনা গাড়ি দাঁড় করায়নি। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) কোর্ট পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
এদিকে লেগুনা জব্দের ঘটনার পর লেগুনা শ্রমিকেরা কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হয়ে নীরব প্রতিবাদ করেন। এ এসময় গরিব চালকদের ব্যাপারে মানবিক বিবেচনা করতে শ্রমিক নেতারা দাবি জানান।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা অটো টেম্পো-লেগুনা চালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রুনু মিয়া মইন জানান, নগরীর ভেতরে চলাচলের জন্য লেগুনার মেট্রোপারমিট আছে। শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সিলেট সিটি কপোরেশনকে আমরা অনুমতির জন্য আবেদনও করেছি। সিটি কপোরেশন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নগর উন্নয়ন সভায় আলাপের বিবেচনায় রেখেছেন। সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান রাস্তায় বিঘœ সৃষ্টি না করে চলাচলেরও অনুমতি দিয়েছিলেন। তাছাড়া আদালতের সাম্প্রতিক আদেশে কোথায় লেগুনার কথা উল্লেখ নেই। নগরীর ভেতরে গাড়িটি চলাচলের অনুমতি পাওয়ার পরও পুলিশ অহেতুক হয়রানি করছে। আমরা এ ব্যাপারে সাংগঠনিক কর্মসূচির পাশাপাশি আইনিভাবে মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গৌছুল হোসেন বলেন, নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে আদালতের নির্দেশনায় সিটি কপোরেশন ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। সে অনুযায়ী ৮টি লেগুনা জব্দ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।