বাহুবলে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে ডাকাত নিহত, অস্ত্র উদ্ধার

33

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
Bahubal News (12-10-2017) Modon Dakatহবিগঞ্জের বাহুবলে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে ডাকাত নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে উপজেলার দারাগাঁও চা বাগানে। নিহত ডাকাতের নাম মদন মিয়া ওরপে সুজন মিয়া ওরপে মুজাম্মেল হোসেন (৩৪)। সে উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র। পুলিশ জানায়, বাহুবল মডেল থানা পুলিশের একটি দল বুধবার বিকেলে ওয়ারেন্ট তামিল করতে গিয়ে মিরপুর এলাকা থেকে উলে¬খিত দুর্ধর্ষ ডাকাত মদন মিয়া (৩৪) কে গ্রেফতার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় দারাগাঁও চা বাগানের পাশে রেল লাইনের কাছে সে অস্ত্র জমা রেখেছে। এ তথ্যের সূত্রে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের এএসপি রাসেলুর রহমান, বাহুবল মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বিশ্বজিৎ দেব, এসআই সোহেল মাহমুদ, আবুল কাশেম, সেলিম, মহরম, অমিত, এএসআই সাহেদুল, সোহেল-এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ গ্রেফতারকৃত মদন মিয়াকে সাথে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে নামে। উপজেলার দক্ষিণ সীমান্তে দারাগাঁও চা বাগানের ২নং সেকশনের ভেতরে মাটির রাস্তায় পৌঁছামাত্র গ্রেফতারকৃত ডাকাত মদনের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে ডাকাত মদন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার সহযোগিদের গুলিতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বন্দুক যুদ্ধ চলাকালে এএসআই সোহেল সাহা ও কনস্টেবল ইমরান মোল¬া আহত হন। তাদের বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাহুবল মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) ওসি বিশ্বজিৎ দেব জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় পাইপগান, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২ রাউন্ড ব্যবহৃত কার্তুজের খোসা, ৩টি ধারালো রামদা, ১টি ছুরি ও গামছা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ১৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। তিনি আরো জানান, নিহত মদন মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে ৭টি মামলা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধৃত ডাকাত মদন মিয়া তার সহযোগীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছে।