রসায়নে নোবেল জিতলেন তিন মলিকিউল গবেষক

30

কাজিরবাজার ডেস্ক :
এ বছর রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল পেয়েছেন জ্যাক ডাবোশেট, জোয়াচিন ফ্র্যাংক ও রিচার্ড হেন্ডারসন।
সুইডিশ নোবেল কমিটির বক্তব্যে বলা হয়, তারা মলিকিউল নিয়ে গবেষণায় সাফল্যের জন্য এই পুরস্কার জিতেছেন।
এতে শুধু তাদের কাঠামোই নয়, ছবিও মানুষের বোধগম্য হয়েছে ঠিক যেন মুভির মতো।
নোবেল কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা বায়োমলিকিউলস-এ ক্রায়ো-ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কপি বিষয়ে গবেষণায় সাফল্যের জন্য এ পুরস্কার পেলেন। তাদের অবদান রসায়ন শান্ত্রকে ভিন্নতর উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
সুইডেনে একটি সংবাদ সম্মেলনে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বিজয়ীরা ১৯০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক জনের তালিকায় যুক্ত হলেন।
নোবেল বিজয়ীদের মধ্যে জ্যাক ডাবোশেট কাজ করেন সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লৌসানেতে। রিচার্ড হেন্ডারসন একজন স্কটিশ হলেও কাজ করেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজের এমআরসি ল্যাবরেটরি অব মলিকিউলার বায়োলজিতে। অন্যদিকে জোয়াকিম ফ্র্যাংক জার্মান বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী।
আজ বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সুইডেনের স্টকহোমে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ ঘোষণা দিয়েছে।
পুরস্কার হিসেবে ৩ বিজ্ঞানী পাচ্ছেন- ৮ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার বা ৯ লাখ ৩১ হাজার মার্কিন ডলার, যা তারা ভাগ করে নেবেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার চলতি বছরের পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ী রেইনার ওয়েস, ব্যারি সি ব্যারিশ এবং কিপ এস থোর্নের নাম ঘোষিত হয়েছে। লিগো (লেজার ইন্টেরফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি) ডিটেক্টর এবং মহাকর্ষীয় তরঙ্গ গবেষণায় অসাধারণ অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। পদার্থবিদ্যায় নোবেলের অর্ধেকটা পেয়েছেন রেইনার। বাকি অর্ধেকটা ভাগাভাগি করছেন ব্যারিশ এবং থোর্নে।   রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস এই পুরস্কারের জন্য এই তিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে।
এর আগে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসায় তিন মার্কিন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষিত হয়। নোবেল প্রাপক হিসেবে জেফরি সি হল, মাইকেল রখবাখ ও মাইকেল ডাব্লিউ ইয়াংয়ের নাম ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মানবশরীরের বডি ক্লক ও বায়োলজিক্যাল রিদম কীভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে, তা নিয়ে যুগান্তকারী গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন এই তিন মার্কিন বিজ্ঞানী।
উল্লেখ্য, সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের শেষ ইচ্ছা অনুসারে গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অবদানের জন্য প্রতি বছর চিকিৎসা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য, শান্তি ও অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।
১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরষ্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮তে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি।
পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করা এবং নোবেল পুরষ্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।