নবীগঞ্জে বাস-এ্যাম্বুলেন্স’র মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ২, আহত ২০

56

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
22047966_1751503715153476_6760253594534233234_oনবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের বড়চর বাজারে বাস ও এ্যাম্বুলেন্স এর মুখোমুখি সংঘর্ষে  নিহত ২ জন হয়েছে। এতে শিশুসহ গুরুতর আহত হয়েছে ২০জন। এ সময় ২০ মিনিট মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে। মুমূর্ষু অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্স চালকসহ’ ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে ২জন মারা যায়। আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স চালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা পাপিয়া পরিবহনের দ্রুতগতির বাস ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে আসা চুনারুঘাটগামী রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স নবীগঞ্জ উপজেলার বড়চর বাজারে পৌঁছা মাত্রই মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বাসের মারাত্মক ধাক্কায় এ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তাৎক্ষণিক (হবিগঞ্জ-সিলেট) সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এড.  আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী  উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ প্রেরণ করা হয়। আহতদের অবস্থা বেঘতিক দেখলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থল এ উপস্থিত হয়। হাসপাতাল ও নিহতদের আত্মীয়স্বজন সূত্রে জানা যায়, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্স এর যাত্রী পান্না আক্তার (২০), আলা উদ্দিন (৪০) মারা যান। উভয় এর বাড়ি চুনারুঘাট উপজেলায়।
এদিকে আশংকাজনক অবস্থায় এ্যাম্বুলেন্স চালককে সিলেট থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ওসি এস.এম.আতাউর রহমান, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ আব্দুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কে বিরাট ভাঙ্গন রয়েছে বাসটি গর্তে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিয়ে এ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা দেয়। মহাসড়কে ভাঙ্গনের ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
আহতরা হলেন খায়রুন নেছা (৩৫), শিশু নিলয় (৫), আলিছা বেগম (৩৪), নিলা আক্তার (৩২), রুমেলা বেগম (২৬), আলহাদী বেগম (৩২)। এ বিষয়ে (হবিগঞ্জ-সিলেট) সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এড. আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী জানান, আমি নিকটে ছিলাম তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে আমার গাড়িতে করে বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ নিয়ে যাই। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার জানান, খবর পেয়ে এসেছি স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জেনেছি ২-৩জন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক। নবীগঞ্জ থানার ওসি এস.এম আতাউর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি।