জকিগঞ্জের মন্ডপে মন্ডপে দেবী আরাধনার চূড়ান্ত প্রস্তুতি, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি পূজা মন্ডপ

37

জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জের ৯১টি পূজা মন্ডপে মন্ডপে চলছে দেবী আরাধনার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। শেষ সময়ে শিল্পীরা রঙের প্রলেপ দিয়ে দুর্গা আর দেব-দেবতাকে সাজিয়ে তুলতে ব্যস্থ সময় পার করছেন। দুর্গোৎসবের আমেজে মেতে উঠেছেন পুজার্থীরা। উৎসব হবে নির্বিঘেœ এমনটা প্রত্যাশা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। ইতিমধ্যে শারদীয় দুর্গোৎসব যথাযথ ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক পৃথক বৈঠক করেছে। শারদীয় দুর্গোৎসবে আইন-শৃংখলা রক্ষার জন্য পূজা মন্ডপগুলোর জন্য নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি আনসারও দেয়া হবে বিভিন্ন পূজা মন্ডপে। থাকবে প্রতিটি মন্ডপে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম। এবারও সিলেট জেলার সবকটি উপজেলার চাইতে সর্বোচ্চ পূজা মন্ডপ জকিগঞ্জে। জকিগঞ্জের ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৯৩ টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ৯১টি মন্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা পূজা পরিষদ। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি, মোটামুটি ঝুঁকিপূর্ণ ৫৩টি ও সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ২৮টি মন্ডপকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ মন্ডপগুলোর প্রতি থাকবে কড়া নজরদারি। যেকোন ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন সার্বক্ষণিক কঠোর অবস্থানে।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সঞ্জয় চন্দ্র নাথ ও সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় বিশ্বাস শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক সমাজের নেতৃবৃন্দসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব যথাযথ ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। শালীনতার মধ্য দিয়ে শাস্ত্র মতে পূজা উদযাপনে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকল পূজা মন্ডপে পুলিশ ও আনসারের পাশাপশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও বেজ ধারণ করে রাতে সার্বক্ষণিক আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যেকোন মন্ডপে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার সম্ভাবনা থাকলে তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে।