খাদিমপাড়ায় খাবার খেয়ে প্রবাসী পরিবারের শিশু-নারীসহ ৬ সদস্য অসুস্থ

58

স্টাফ রিপোর্টার :
খাদিমপাড়া এলাকায় রাতের খাবার খেয়ে একটি পরিবারের ৬ সদস্য অসুস্থ হয়েছেন। পরে তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থদের মধ্যে একজন প্রবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থা থাকায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আল মদিনা আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত ১২টায় অজ্ঞান অবস্থায় তাদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ ৬ জনের মধ্যে লন্ডন প্রবাসী মহিলা নামারা বেগম এবং মিছবাহ বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে ভর্তি অন্যরা হচ্ছেন, মাইজা বেগম, মাহিমা বেগম, সাহেদা বেগম ও আজিজুর রহমান।
বাসার কেয়ারটেকার আল আমিন জানান, খাদিমপাড়ার আল মদিনা আবাসিক এলাকায় বাসার সবাই রাতের খাবার খাওয়ার পর প্রথমে বমি করেন এবং পরে  অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০ টার কিছু পরে তিনি বাসায় এলে সবাইকে অসুস্থ দেখে আশেপাশের লোকজন থানায় খবর দেন। পরে সবাইকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রবাসী মহিলা নামারা বেগমকে রাত ৪ টায় এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ওসমানী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম জানান, ধারনা করা হচ্ছে খাবারের সাথে  চেতনানাশক কিছু মিশানো হতে পারে।
শাহপরান পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই আবু রায়হান নূর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের কাছে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটা পুরোটাই একটা পারিবারিক সমস্যা। তিনি জানান, তাদের ২ ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই ২ বিয়ে করেছেন, এর মধ্যে বড় বউকে দেশে রেখে ছোট বউকে নিয়ে লন্ডনে পাড়ি জমান তিনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। এর মধ্যে দেশে থাকা বড় বউ সে তাঁর মতো করে থাকতে চায় দেশে। কিন্তু এতে তার স্বামীর ঘোর আপত্তি। তাই স্বামী চায় তার বউ স্বামীর আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে থাকুক। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার বড় বউয়ের চাচা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। আর তিনি চলে যাবার পর বাড়িতে এই অবস্থা। এতে সকলের সাথে বড় বউ অসুস্থ হলেও তিনি সবার চাইতে ভালো থাকায় পরিবারের লোকজনের সন্দেহর তির বড় বউ ও তাঁর চাচার দিকে যাচ্ছে, বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। তারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলে বিস্তারিত জানা যাবে। এছাড়া ওই বাড়িতে কোন জিনিসপত্র খোয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,  তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তদন্ত করা হচ্ছে। পরে সবকিছু জানানো হবে।