স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি

25

স্টাফ রিপোর্টার :
ওসমানীনগরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রীকে হত্যার দায়েরকৃত মামলায় এক পাষন্ড স্বামীকে ফাঁসি (মৃত্যুদন্ড) দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীর নাম- সিএনজি অটোরিক্সা চালক কয়েছ মিয়া (৩৪)। সে মৌলভীবাজার সদর থানার পূর্ব সাধুহাটি (বর্তমানে ফতেহপুর) গ্রামের আবদুল খালিকের পুত্র। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই মধ্যরাতে ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে শ^শুর বাড়িতে বেড়াতে যান সিএনজি অটোরিক্সা চালক কয়েছ মিয়া। ওই রাতেই পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি স্ত্রী সুলতানা বেগমকে (২০) গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরদিন অর্থাৎ ২৪ জুলাই সকালে খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহত সুলতানার মা সুন্দর বিবি বাদি হয়ে একমাত্র কয়েছ মিয়াকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৯ (২৪-০৭-২০০৯)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে একই বছরের ২৪ ডিসেম্বর ওসমানীনগর থানার এসআই শাহাদত হোসেন একমাত্র কয়েছ মিয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ২০১২ সালের ২১ জুন থেকে এ মামলার বিচারকার্য্য শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানী ও ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামী কয়েছ মিয়াকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদন্ড (ফাঁসি) প্রদান করা হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি এডভোকেট মোস্তফা দিলওয়ার আল আজহার জানান, মামলার ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত গতকাল বুধবার কয়েছ মিয়ার বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন। কয়েছ মিয়া জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এছাড়া আসামীপক্ষে স্ট্রেট ডিফেন্স এডভোকেট সনতু দাস মামলাটি পরিচালনা করেন।