বড়লেখার ফকিরবাজার মাদ্রাসার সুপার নিয়োগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা

50

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখার ফকিরবাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও নি¤œমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর মৌলভীবাজার সহকারী জজ আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। সুপার পদপ্রার্থী আব্দুল করিমের আবেদন গায়েবের ঘটনায় তিনি গত ২ আগষ্ট আদালতে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের জন্য স্বত্ত্ব মামলা (নং-২৫৯/১৭) দায়ের করলে গত ২৮ আগষ্ট বিজ্ঞ সহকারী জজ বেগম সেজুতি জান্নাত ঘটনার প্রমাণ পেয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অভিযোগ রয়েছে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি পছন্দের প্রার্থীকে সুপার নিয়োগ দিতে দীর্ঘদিন ধরে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যান। মিশন বাস্তাবায়নে ৩ সুপার প্রার্থীর আবেদনপত্র গায়েব করে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপার আব্দুস সবুর অবসরে যাওয়ায় ফকিরবাজার দাখিল মাদ্রাসার সুপার পদ শূন্য হয়। এরপর ৪-৫ বার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও পদটি পূরণ করা হয়নি। গত বছরের ১৮ নভেম্বর সুপার ও নি¤œমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ বোর্ড সুপার পদে আব্দুল মোহিম ও নি¤œমান সহকারী পদে জাহেদ হোসেনকে নির্বাচিত করে। অভিযোগ রয়েছে পছন্দের প্রার্থীকে সুপার পদে নিয়োগ দিতে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি শামীম আহমদ এ নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করেন। পরবর্তীতে পুণরায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সুপার পদে আব্দুল খালিক, ওয়াছিক উদ্দিন, আব্দুল করিম ও রফিক উদ্দিন ব্যাংক ড্রাফটসহ আবেদন করেন। কিন্তু বাছাইয়ের আগেই তাদের মধ্যে ৩ জনের আবেদন গায়েব ও ১ জনের অনাপত্তিপত্র ফেলে দিয়ে আবেদন বাতিল করা হয়।
সুপার প্রার্থী আব্দুল করিম জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানতে পারেন ৬ আগষ্ট নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে অথচ তাকে ডাকা হয়নি। তাকে নিয়োগের এডমিট না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে জানানো হয় বাছাইয়ে তার আবেদন পাওয়া যায়নি। অথচ তিনি ডাকযোগে আবেদন পাঠিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার আবেদন গায়েব করা হয়। পরে জানতে পারেন তারমত আরো দুইজনের আবেদন গায়েব হয়েছে। এজন্য তিনি গত ২ আগষ্ট আদালতের শরণাপন্ন হন। বিজ্ঞ আদালত ঘটনার প্রমাণ পেয়ে উক্ত নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
সুপার পদপ্রার্থী আব্দুল খালিক জানান, সভাপতির চাচাকে নিয়োগ দিতে গত দেড়/দুই বছর ধরে এ মাদ্রাসায় নিয়োগ নাটক চলছে। অনাপত্তিপত্র না থাকায় তার আবেদন বাতিল করা হয় শুনে তিনি অবাক হন। ইচ্ছা করেই তার অনাপত্তিপত্র ফেলে দেয়া হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাওলাদার আজিজুল ইসলাম জানান, আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞায় ৬ আগষ্টের পূর্ব নির্ধারিত নিয়োগ পরীক্ষা স্থাগিত করা হয়। স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের কোন কপি এখনও হাতে পৌছেনি। আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।