গোলাপগঞ্জে খুন হওয়া এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, মাকে হারিয়ে অসহায় দুটি শিশু

73

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে রাবিয়া বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে kazনিহত গৃহবধূর স্বামীর শয়ন কক্ষে খাটে শোয়া অবস্থায় পুলিশ ঐ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করছে। নিহতের স্বামীর বাড়ীর লোকজন গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে এসআই মঞ্জুরুল আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের স্বামীর বাড়ীর লোকজন বলছে আত্মহত্যা, আর গৃহবধূর স্বজনরা বলছে তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তীরের সাথে কাপড় পেঁচিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে। পুলিশও নিহতের লাশ খাটে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করছে। নিহত রাবিয়া বেগমের আপন ভাই কামাল উদ্দিন (৩৬) বলেন, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আমার বোন আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার স্বামী তাকে মারধর করতেছে। আমার সাথে ফোনে আলাপ করার সময় ফোন কেটে যায়। সকাল সাড়ে ১১টার সময় আমার বোনের শাশুড়ি কল্পনা বেগম আমাকে ফোন দিয়ে জানায় আমার বোন মারা গেছে। খবর পেয়ে আমিসহ আমার পরিবারের লোকজন বিকাল ৩টায় আমার বোনের বাড়ী গিয়ে পাই পুলিশ আমার বোনের লাশ উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিহত গৃহবধূ উপজেলার বুধবারীবাজার ইউপির বাণীগ্রামের জাহেদ আহমদের স্ত্রী ও জকিগঞ্জ উপজেলার মাইজকান্দি গ্রামের মৃত পাকি মিয়ার মেয়ে। তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন থেকে আমার বোনের স্বামীর লোকজন শারিরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিল। ৩ বেলা ঠিকমত খাবারও দিতনা। আমার বোনের  জাইম আহমদ (৫) ও ফাইজা বেগম (৪) নামে দুটি শিশু রয়েছে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মীর আবু নাছেরের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশটি নিচে থেকে উদ্ধার করেছে ও ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত ঘটনাটি জানা যাবে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে নিহতের মামা আব্দুল গফুর অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাগনিকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন হত্যা করেছে। গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে দুটি শিশু সন্তান একইবারে অসহায় হয়ে পড়েছে।