বালাগঞ্জে নিজ কলেজে হামলার শিকার প্রতিষ্ঠাতা, আহত ১২

38

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জে কলেজর প্রতিষ্ঠাতার উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। বালাগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হামলায় আহত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যান্য আহতদেরকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নর্থ ইষ্ট বালাগঞ্জ কলেজে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: গোলাম মোস্তফা জানান, মঙ্গলবার কলেজে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান চলাকালে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র শোয়েব আহমদ শালিন পোশাক না পরে অনুষ্ঠান কক্ষে প্রবেশ করায় তাকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। শোয়েবকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না দেয়ার জের ধরে স্থানীয় ১০-১৫ জন লোক অনুষ্ঠানস্থলে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সুলতান আহমদ ও একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী তামান্না বেগম জানান, ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কলেজের প্রতিষ্ঠাতার ওপর আকস্মিকভাবে বহিরাগত ১০-১২জন যুবক সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। এতে আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার সময় দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে গিয়ে বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। হামলায় আহত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মতিন মাখন মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে বলেন, আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। কলেজ গভর্ণিং বডির সদস্য নশিওরপুর গ্রামের হাজী শাইস্তা মিয়া তার লোক নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমি ও শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের উপর সশস্ত্র হামলা করিয়েছেন। এতে আমি গুরুতর আহত হই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকার প্রবেশ করে হামলার এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। অভিযুক্ত হাজী মো: শাইস্তা মিয়া বলেন, হামলার ঘটনায় আমার কোনো হাত নেই। মতিন মিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন হলেও তিনি নিজিকে অনেক বড় মনে করেন। তিনি মানুষের সাথে খুবই খারাপ ভাষায় কথা বলেন এবং মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করেন। বালাগঞ্জ থানার এসআই আমির খসরু বলেন, কলেজে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার মুরব্বিয়ানরা বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।