দর্জি জালাল হত্যা মামলার তদন্তে পিবিআই

29

প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় খুন হন দর্জি জালাল। আলোচিত এ হত্যা মামলা পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল হালিম মামলার বাদী আবেদনের প্রেক্ষিতে মামরাটি পুনঃ তদন্তের এ আদেশ দিয়েছেন। পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর মামলার শুনানীর দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রসঙ্গ দর্জি জালাল হত্যা মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর আদালতে দুইভাগে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) নং ১৪৮ ক এবং খ দাখিল করেছিলো এসএমপি’র দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। ওই বছর ২৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশীটের উপর না-রাজি দরখাস্ত দাখিল করেন মামলার বাদী নিহতের ভাই হেলাল আহমদ। আবেদনে তিনি জালাল হন্তারক শিপনের চাচাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানান।
আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয়, আসামী নজরুল ইসলাম শিপন কর্তৃক ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে প্রদত্ত ভিকটিম জালালকে হত্যা করতে যাওয়ার সময় শিপনের চাচা তাদের সহযোগী ছিলেন। গত বছর ১৪ অক্টোবর সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন বিচারক উম্মে সরাবন তহুরার আদালতে জালাল হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ওই সময় প্রদত্ত চার্জশীটে অভিযুক্তরা হলেন, বিশ^নাথ উপজেলার তাজ মহরম গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুল আলিম বাবলু (১৬), একই উপজেলার বিশ^নাথের গাঁওয়ের আলাউদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম শিপন ও তাজমহরম গ্রামের হাজী পরতাব আলীর ছেলে ননছির আলী (২৯)।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৩ জুন দিবাগত রাতে বিশ^নাথ উপজেলার তাজমহরম গ্রামের সীমান্তবর্তী (দক্ষিণ সুরমা উপজেলাধীন) এলাকায় খুন হন দর্জি আখলিছুর রহমান জালাল (২৭)। তিনি বিশ^নাথ উপজেলার তাজমহরম গ্রামের মৃত হাজী সমশের আলীর ছেলে। সিলেট নগরীর শুকরিয়া মার্কেটের নাইস টেইলার্সের দর্জি ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই হেলাল আহমদ বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তিন আসামীকে গ্রেফতার করে। বিজ্ঞপ্তি