মোবাইল পাঠাগারের স্মরণ সভা ॥ বাংলা সাহিত্যে সৃজনশীলতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন বঙ্কিম চন্দ্র

67

ছোট বিষয়কে কিভাবে বড় করে লেখতে হয় আবার বড় বিষয়কে কিভাবে ছোট করে লেখতে হয় বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে অধ্যয়ন করলে তা জানা যায়। বাংলা সাহিত্যে সৃজনশীলতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। মানুষের স্বপ্ন, সংগ্রাম, আশাÑআকাক্সক্ষা, আবেগ ও বাস্তবতাকে নিবিড়ভাবে তুলে ধরেছিলেন তার প্রতিটি লেখার মাধ্যমে। তার হাতে রচিত হয়েছিলো, বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক সার্থক উপন্যাস দুর্গেশ নন্দিনী। যার মাধ্যমে খোলে দিয়েছিলেন কথাসাহিত্যের নতুন এক দিগন্ত।
সিলেট মোবাইল পাঠাগারের উদ্যোগে ‘বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন ও সাহিত্য কর্ম’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্ল¬াই রোডস্থ মেট্টোপলিটন ল’ কলেজ ভবন মিলনায়তনে গত শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট মোবাইল পাঠাগার ৬৪২তম সাহিত্য আসরে সভাপতিত্ব করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক-লেখক মুহম্মদ বশিরুদ্দিন ও মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গল্পকার জীম হামযাহ। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কবি তারেশ কান্তি তালুকদার, প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ আব্দুল হক, কবি নাঈমা চৌধুরী ও লিটল ম্যাগ পলিমাটি সম্পাদক কবি ও গল্পকার বাশীরুল আমিন।
সাহিত্যকর্মী তাসলিমা খানম বীথি’র উপস্থাপনায় শামসীর হারুনূর রশীদ’র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সাহিত্য আসরে লেখা পাঠে অংশ নেন, ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক, পৃথ্বীশ চক্রবর্তী, ছড়াকার সৈয়দ মুক্তাদা হামিদ, আতাউর রহমান বঙ্গী, কামাল আহমদ, কার্তিক দাশ, মাজহারুল ইসলাম মেনন, সারেক আহমদ চৌধুরী, শাহ সরোয়ার আলী ও মুয়াজ বিন এনাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি