জকিগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ৭ দিনেও মামলা দিতে পারেনি ধর্ষিতার পরিবার

26

জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জ পৌর এলাকার মাইজকান্দি গ্রামের এক কিশোরী গত শনিবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঘটনার একসপ্তাহ হলেও অভিযুক্ত একই গ্রামের আব্দুল মুতলিবের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমদের হুমকির কারণে ধর্ষিতার পরিবার মামলা দায়ের করতে পারছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন জানান, গত শনিবার বিকেলের দিকে মাইজকান্দি গ্রামের আব্দুল মুতলিবের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমদ (২৯) ঘরে ডুকে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হলেও কাওসার ও তার পরিবারের লোকজনের হুমকির কারণে মামলা দায়ের করতে পারছেনা। পরে কাওসারের পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করতে কতিপয় গ্রাম্য সালিশের মধ্যস্থতায় আপোষের চেষ্টা করেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে এলাকার এক মুরব্বি জানান, আলামত নষ্ট করার জন্য স্থানীয় কতিপয় সালিশরা আপোষ বিচারের নামে ধর্ষিতার পরিবারকে মামলা থেকে বিরত রেখেছেন।
সিলেট জেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন বলেন, কোন ধর্ষণের ঘটনা আপোষে নিষ্পত্তি করাটাও অপরাধ। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে তিনি আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউর রহমান আতাই বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় আপোষ বৈঠক হয়েছে তা ঠিক কিন্তু কোন বৈঠকেই আমি উপস্থিত ছিলাম না। বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানতে পেরেছি। মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ধর্ষিতার পরিবার।
ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত কাওসার আহমদের ভাই সাবেক কাউন্সিলর আমাল আহমদ এ ব্যাপারে বলেন, গ্রাম্য সালিশে ঘটনাটি সমাধান হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, শুনেছি ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার থানায় কোন অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।