জিহাদী বই ও লিফলেটসহ জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার

65

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা ও নগরীর সাদাটিকর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে জিহাদী বই SSSSSএবং লিফলেটসহ জামায়াত-শিবিরের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ও সোমবার গভীর রাতে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার জামায়াতের সেক্রেটারী বদরুল ইসলাম (৪০), (দক্ষিণ সুরমা বরইকান্দি ইউপি ৪নং ওয়ার্ডের জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ আলমগীর (২৭), দক্ষিণ সুরমা বরইকান্দি ইউপি ৪নং ওয়ার্ডের জামায়াত শিবিরের সেক্রেটারী মোঃ রফিকুল ইসলাম সিতাব (২৭), দক্ষিণ সুরমা ৬নং লালাবাজার ইউপির জামায়াতের কর্মী ইমন আহমদ (২৪), তোফায়েল আহমদ (৩২), মোগলাবাজর ইউপির জামায়াত কর্মী জামাল উদ্দিন জামাল (৩২), সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার দশঘর পলাশ গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র আল-আমিন (২৪) ও চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের নুরুল আমিনের পুত্র বর্তমানে নগরীর সাদাটিকর শাহজালাল হাউজিংয়ের ফয়েজ মঞ্জিল ৩৮ নং বাসার বাদিন্দা মাহমুদুল্লাহ (২৩)।
এসএমপি পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে পুলিশের একটি টিম দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা হতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার ৩ নং মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪ টার দিকে শাহপরান থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদাটিকর এলাকার শাহজালাল হাউজিংস্থ ফয়েজ মঞ্জিল ৩৮ নং বাসার নীচ তলার মেসে অভিযান চালিয়ে আল-আমিন ও মাহমুদুল্লাহকে গ্রেফতার করে। এ সময় পুলিশি অভিযান ঢের পেয়ে জামায়াত-শিবিরের আরো ৮/১০ জন পালিয়ে যায়। পুলিশ তখন মেসটি তল্লাশি করে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সহিত সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, আব্দুল কাদের মোল্লা স্মৃতি সংসদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামানগংদের লেখা নাশকতার উদ্দেশ্যে জিহাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বই, দলীয় সাংগঠনিক বই পত্র, লিফলেট ইত্যাদি পাইয়া জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন।
এ ঘটনায় শাহপরান থানার এসআই (নিঃ) মোঃ কামাল হোসেন বাদী হয়ে আসামীদ্বয়সহ অজ্ঞাতনামা ০৮/১০ জনকে আসামী করে শাহপরাণ (রহ:) থানার মামলা  রুজু করেন।  গ্রেফতারকৃত সকল আসামীদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরন করেন। শাহপরাণ (রহ:) থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং তিনি জানান- পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।