সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ ধোপাগুলে পাথর ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

44

স্টাফ রিপোর্টার :
এয়ারপোর্ট থানার ধোপাগুলে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, মামলা দিয়ে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধোপাগুল এলাকার নাছিরসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দেশবাংলা  ট্রেডিংয়ের মালিক পাথর ব্যবসায়ী মো. আব্দুল গফফার।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুল গফ্ফার বলেন, ধোপাগুল এলাকায় কোম্পানীগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ ও বিছকান্দি থেকে পাথর সংগ্রহ করে অন্যান্য ব্যবসায়ীর মতো তিনিও ব্যবসা করে আসছেন। তার বাড়ি খুলনা হলেও সিলেটে ব্যবসা করছেন। নাছিরের নেতৃত্বে ইউছুফ মিয়া, মুকিম, কুতুব, বুলবুল, কবির, আজির উদ্দিন, আব্দুল কাদির ও নারী সদস্যসহ ৩০/৩৫ জনের একটি চক্র ব্যবসায়ীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাঙচুর মামলাসহ বিমানবন্দর ও কোতোয়ালি থানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং জিডি রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি নাছির ও তার সহযোগীরা দেশ বাংলা ট্রেডিং-এ হামলা চালিয়ে কর্মচারীদের মারধর করে ৩০ লাখ টাকার পাথরসহ অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র, মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি বিমানবন্দর থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। উল্টো ৩০শে জানুয়ারি এ চক্রের অন্যতম সদস্য মো. আবু ইউসুফকে বাদী সাজিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গফ্ফার বলেন, মামলা না নেয়ায় তিনি র‌্যাব-৯ ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করলে ঘটনার ৪ মাস ৮ দিন পর ২০১৫ সালের ৪ মে মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলা তদন্তের ব্যাপারে ২০১৫ সালে ২৭শে জুন থানায় গেলে সাবেক এসি মোল্লা শাহীন, এএসআই রফিক ও লোকমানের সামনে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে বলেন। তিনি অস্বীকার করলে রফিক ও লোকমান তার নগদ ৩ হাজার টাকা এবং মোবাইলসেট কেড়ে নিয়ে দুহাত বেঁধে ক্রসফায়ারের হুমকি দেন ও মারধর করেন। তারপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি নির্জন চা বাগানে। সেখানে নাছির, ইউসুফ ও কুতুবের হাতে তাকে তুলে দিলে তারা পুলিশের কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নিয়ে বাঁট দিয়ে নির্দয়ভাবে মারতে থাকে। একপর্যায়ে পানি খেতে চাইলে তারা মদের বোতল ধরিয়ে দেয়। এ সময় একটি ফোন বেজে উঠলে তারা ‘জি স্যার’ ‘জি স্যার’ করে এবং বলে ওকে নিয়ে যাচ্ছি। এরপর তারা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার ভর্তির কথা বললেও তারা প্রেসক্রিপশন নিয়ে থানা হাজতে চলে আসে এবং সেখানে বিবস্ত্র করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে হুমকি দেয় যে, বাড়াবাড়ি করলে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে। পরে এয়ারপোর্ট থানার মামলা নং ১৪, জিআর ১০৬ মূলে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর জামিনে মুক্তি পেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল গফ্ফার নির্বিঘেœ ব্যবসা পরিচালনা করার এবং এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।