সরকার সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার কৃষি কার্ড ও ৫০ হাজার মৎস্য কার্ড বিতরণ করেছে –মুহিবুর রহমান মানিক এমপি

22

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, দেশের অবহেলিত মৎস্যজীবীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিবন্ধনের আওতায় এনেছে সরকার। বর্তমানে মিঠা পানির মাছ রক্ষার পাশাপশি গ্রামে-গঞ্জে ব্যাপক হারে চাষের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন করা হচ্ছে। বোরো ফসলহারা কৃষকদের কষ্টের কথা উল্লেখ করে এমপি বলেন, সরকার কৃষকদের সহায়তায় সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলার ৩লক্ষ ২৫ হাজার কৃষিকার্ড ও মৎস্যজীবীদের জন্য আরো ৫০হাজার মৎস্য কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। জলাশয় শুকিয়ে মাছ আহরণ না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পরিবেশ ধ্বংস ও বিপর্যয় ঘটে এমন কাজ ছাতক-দোয়ারায় হতে দেয়া হবে না। কতিপয় অর্থলোভী মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাতকের ধনীটিলা কেটে পাথর উত্তোলন করে স্বাভাবিক পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে। এসব পাথর খেকোদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনে বিষয়টি মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপন করার কথাও বলেন এমপি।
বুধবার সকালে উপজেলা মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত র‌্যালী পরবর্তি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সমবায় কর্মকর্তা বিজিত রঞ্জন করের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় এমপি আরো বলেন, দেশের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি এলাকায় দেশীয় মাছ এখনো প্রচুর পরিমানে পাওয়া যাচ্ছে। হাওর-বিলসহ সুরমা নদী হচ্ছে দেশীয় মাছের প্রধান উৎস। ঝাটকা নিধন বন্ধ হলে সুরমার সু-স্বাদু রূপালী ইলিশ সিলেট বিভাগের চাহিদা পুরন করে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রেরন করা যাবে। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশিনার(ভুমি) সাবিনা ইয়াসমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম বদরুল হক, প্রকৌশলী আবুল হোসেন মিয়া, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান প্রমুখ।