দেড় মাসেও কুলাউড়ার আলোচিত রুমি হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন হয়নি

55

কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
কুলাউড়ার আলোচিত রুমি হত্যাকান্ডের দেড় মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত উদঘাটন হয়নি হত্যকান্ডের মূল রহস্য।
পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনার সাথে স্বজনদের জড়িত থাকার ধারনা করলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকেও গ্রেফতার করতে পারেনি। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই রাতে রুমি বেগমকে দুইজন যুবক কোলে করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তার একজন আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীর চিকিৎসায় ব্যস্ত ছিলেন। চিকিৎসক কিছু বুঝার আগেই ওই যুবকরা মেয়েটিকে হাসপাতালের বেডে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক মেয়েটিকে মৃত হিসেবে নিশ্চিত হয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনরা লাশ না নেয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে মৌলভীবাজার পৌরসভার গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ পৌরসভার পরীনগর ওয়ার্ডে রুমির পরিবারের ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে তাদের ঘরটি তালাবদ্ধ দেখতে পায়। এরপর থেকে পরিবারের কোন স্বজনদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও কোন স্বজনদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ঘটনার মূল রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কায়সার আরিফ জানান, রুমি পরিবারের মূল বাড়ী হবিগঞ্জ পৌরসভার উমেদনগর গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন থেকে পরীনগর এলাকায় মো. খলিলুর রহমানের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। ঘটনার পর থেকে তারা লাপাত্তা রয়েছে। এরপর তারা কেউ আর এ বাড়ীতে আসেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কানাই লাল জানান, রুমির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে পৌঁছায় নি, রিপোর্ট পেলে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যাবে। আর আমরা ধারনা করছি রুমি হত্যাকান্ডের সাথে তার স্বজনরা জড়িত। কারণ ঘটনার পর পরই রুমির স্বজনরা কুলাউড়া পৌরশহরের তাদের ভাড়াটিয়া বাসাটি তালা দিয়ে লাপাত্তা রয়েছে। রুমিরা পিতা রহিম মিয়া, তাদের মূল বাড়ী হবিগঞ্জ পৌরসভার উমেদনগর গ্রামে পরিচয় দিয়ে বাসাটি বাড়া নেয়। রুমির হত্যাকান্ডের পর আমারা সেখানেও খোজ নিয়ে তাদের কোন বসত-ভিটা পাইনি।