জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কের স্টীল ব্রীজের এপ্রোচে আবারো ভাঙন, যানবাহন চলাচল বন্ধ

63

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কের নারিকেলতলা নামক স্থানে স্টীল ব্রীজের এপ্রোচে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। potoবৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে ব্রীজের দক্ষিণ দিকের এপ্রোচের মাটি নিচের দিকে দেবে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। যে কারণে জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জগন্নাথপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া যানবাহন ভাঙনে কবলিত ব্রীজের উত্তর পাশে গিয়ে থেমে যায়। আবার রাণীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন ব্রীজের দক্ষিণ পাশে এসে থেমে যায়। বাকি ব্রীজ পর্যন্ত যাত্রীদের পায়ে হেঁটে যেতে হয়। এভাবেই অত্র অঞ্চলের জনগণ যাতায়াত করছেন। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে শুক্রবার দিন ব্যাপী ব্রীজের ভাঙনে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সরজমিনে দেখা যায়, ভাঙনে কাঁদা মাটি ফেলে কিছু ইট বসিয়ে দেয়া হলেও কাজ হচ্ছে না। গাড়ি চলাচল করতে চাইলে কাঁদা মাটিতে দেবে গিয়ে আটকে যায়। ফলে ভাঙনে মাটি ভরাট করা হলেও এখনো সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে কাজের দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আবদুর রহিম জানান, আমরা দিন ব্যাপী ব্রীজের ভাঙনে মাটি ভরাট কাজ করেছি। মাটি ভরাট শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য ইট ফেলা হয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না। কাঁদা মাটি হওয়ায় গাড়িগুলো দেবে যাচ্ছে। তবে রোববারের মধ্যে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্থায়ী সমাধান করতে হলে স্ট্রিলের ভেলি বসিয়ে ভাঙনে কাজ করতে হবে। তবে চেষ্টা করা হলেও ভেলি পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়া গত প্রায় এক মাস আগে প্রথম এ ব্রীজের এপ্রোচে ভাঙন দেখা দেয়। অতিবৃষ্টির কারণে ব্রিজের এপ্রোচের মাটি নিচের দিকে দেবে গেলে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সেই সাথে এপ্রোচের পাশাপাশি পশ্চিম দিকে নদীর ঢেউ ও পানির প্রচ- ¯্রােতে সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ ৩৩ হাজার কেভি বিদ্যুৎ লাইনের দুইটি খুঁটি। যে কোন সময় খুঁটিগুলো নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও গাছের টুকরো সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতেও কাজ হচ্ছে না। নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপস্থিত ভূক্তভোগী জনতাদের মধ্যে অনেকে বলেন, জগন্নাথপুর-রাণীগঞ্জ সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হলে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্রীজের এপ্রোচে স্থানীয় ভাবে কাজ করতে হবে। সেই সাথে রাণীগঞ্জের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হলে এ ব্রিজের কাছে থাকা নদী ভাঙনে কবিলত বিদ্যুতের খুঁটিগুলো অন্যত্র নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে হবে। তা না হলে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা বিরাজ করছে।