পুলিশের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণেই খুন হয়েছেন কলেজছাত্র সাইফুল

27

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম খুনের নেপথ্যের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পারিবারিক বিরোধ, প্রেমঘটিত বিরোধ, মাদক ব্যবসা এবং অন্য কোনো বিরোধ-এসব বিষয়কে সামনে রেখে তদন্তকাজ এগিয়ে নিচ্ছে পুলিশ। তন্মধ্যে প্রেমঘটিত বিরোধ বিষয়টিকেই মুখ্য হিসেবে দেখছে পুলিশ। তদন্তকাজের জন্য বাসা থেকে সাইফুলের কম্পিউটারও নিয়ে গেছে পুলিশ।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা বলেন, সাইফুল খুনের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ পারিবারিক বিরোধ, প্রেমঘটিত বিরোধ এবং অন্য কোনো বিরোধ-এসব বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত চালাচ্ছে। তদন্তের জন্য সাইফুলের কম্পিউটারও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাইফুলের কম্পিউটারে কয়েকজন তরুণীর ছবি পাওয়া গেছে। এসব তরুণীদের সাথে সাইফুলের কি সম্পর্ক ছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাপ্ত ছবিগুলোর মধ্যে অন্তত একজন তরুণীর বিষয়ে পুলিশ সন্দিহান। তার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। পুলিশের ধারণা, প্রেমঘটিত ঝামেলা থেকেই খুন হয়েছেন সাইফুল।
নগরীর শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বলেন, সাইফুল খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য প্রেমঘটিত বিরোধ, মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়েই দৃষ্টি দিচ্ছি আমরা। তবে আমাদের ধারণা, প্রেমঘটিত কোনো বিরোধের জেরেই এ হত্যাকান্ড ঘটেছে। তিনি বলেন, সাইফুলের কম্পিউটার থেকে পাওয়া তরুণীর ছবির সূত্র ধরে তদন্তকাজ এগোচ্ছে। পুলিশ আশাবাদী, দ্রুতই এ খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
পরিবারের সাথে নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়ার মোহিনী-৬৬নং বাসায় বসবাস করতেন সাইফুল ইসলাম। সীমান্তিক আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি পাসের পর চলতি বছর সিলেট সায়েন্স কলেজে ভর্তি হন সাইফুল। আরজন আলী ও নুরুন্নাহার দম্পতির পাঁচ ছেলে-মেয়ের মধ্যে সাইফুল ছিলেন সবার ছোট।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ লামাপাড়ায় কয়েকজন যুবক সাইফুলকে ধাওয়া দিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাইফুলকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত রবিবার দুপুরে অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে শাহপরান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার পিতা আরজন আলী।