নবীগঞ্জে চুরির অভিযোগে শিশুকে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন

22

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দেশে যখন শিশুদের উপর পাশবিক নির্যাতনের বিচারে সরগরম ঠিক তখনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ১২ বছরের শিশু IMG_20170627_225040-picsayপারভেজকে হাত পা বেঁধে নির্মম পাশবিক নির্যাতন করেছে সাবেক ইউপি সদস্য এবং তার সহোদররা। ছোট ভাইয়ের সামনেই তাকে হাত পা বেঁধে লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক নির্যাতন করে। ভাইকে তার সামনে এই রকম মারপিট করার নির্মম ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বার বার কান্না ভেঙ্গে পড়ে নির্যাতনের শিকার পারভেজ এর ছোট ভাই ৯ বছরের শিশু বাবুল মিয়া। উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গজনাইপুর ইউনিয়নরে ২নং ওয়ার্ড কায়স্থগ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাহির আলী’র বাড়িতে কাজ করে আসছে একই গ্রামের আমির আলী’র ২য় পুত্র পারভেজ আহমেদ। গত সোমবার জাহির আলী’র ঘর থেকে একটি মেমরি কার্ড হারিয়ে যায়। পরিবারের সবাই সন্দেহ করে পারভেজ মেমরি কার্ডটি চুরি করেছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯টা দিকে এ ঘটনা শুনে শিশু পারভেজ ও তার ভাই বাবুল মিয়া যায়, ছোট অবুঝ শিশু বাবুল মিয়া কান্না জড়িত কন্ঠে বলে, জাহির আলী’র বাড়িতে যাওয়ার পর জাহির আলীর বড় বোন সোনাবান বেগম’কে বিষয়টি জানতে চাইলে সোনাবান পারভেজকে বলেন’ তুই মেমরি চুরি করছস’ তারপর পারভেজকে সাবেক ইউপি সদস্য জাহির আলী ডেকে নিয়ে তার হাতে ধরে তার ছোট ছেলে নুরুলকে বলে রশি নিয়ে আয় চোরকে বাঁধবো। পরে জাহির আলীর সহোদর রহমান মিয়া এবং ভাগনীর জামাই শাহ নুর মিয়া হাতে বেধে ধরে রাখে পরে রুইল, দা দিয়ে জাহির আলীর সহোদর মকছদ আলীর পুত্র, টিটু মিয়া, বুলু মিয়ার পুত্র পারভেজ মিয়াসহ আরো কয়েকজন শিশু পারভেজ এর ছোট ভাইয়ের সামনে পারভেজ এর উপর চলে বর্বরোচিত পাশবিক নির্যাতন। এই নিষ্ঠুর নির্যাতন দেখে এক পর্যায়ে তার ছোট ভাই বাবুল চোখ ভেজা কান্নায় চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে তার মুখ চেপে ধরে জাহির আলী’র সহোদররা। মারধরের এক পর্যায়ে পারভেজ অজ্ঞান হয়ে পড়লে তখন সবাই মরে যাওয়ার ভয়ে হাতের বাঁধন খুলে দেওয়ার পর সবাই যার যার ঘরে চলে যায়।  কিছু সময় পর পারভেজ এর অবস্থা কিছুটা স¦াভাবিক হলে ছোট ভাই বাবুল টেনে টেনে জাহির আলীর বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। চলে আসতে দেখে আবার ও তাদের পিছু ধাওয়া করে সাবেক মেম্বারের গংরা। মেম্বার জাহির আলীর মেয়ে ফোন দিয়ে পারভেজ এর বড় ভাইকে বলে তর ভাই আছে না মরছে খোজ নিছস নি এখবর শুনার পর পারভেজ এর পরিবারের লোকজন পারভেজকে খুঁজতে জাহির আলীর বাড়ির দিকে ছুটে গেলে রাস্তায় পারভেজ এবং বাবুলকে দেখতে পায়। পরে পরিবারের লোকজন পারভেজকে রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সংবাদটি লেখা পর্যন্ত  পারভেজ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং আছে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।